ডেকে নিয়ে যৌন নিপীড়ন
কুষ্টিয়া প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৩ ১৮:৫১ পিএম
আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২৩ ২০:০১ পিএম
প্রতীকী ছবি।
কুষ্টিয়ায় ‘মজা’ কিনে দেওয়ার কথা বলে দুই শিশুকে যৌন নিপীড়ন মামলায় মূল অভিযুক্ত সোবাহান হোসেন এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। তিনদিনেও আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাদী পক্ষ। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে শনিবার (১৫ জুলাই) বাড়ি ফিরেছে শিশুরা।
পেশায় চাল মিলের শ্রমিক এক শিশুর বাবা বলেন, ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য এই কয়েকদিন হাসপাতালেই ছিলাম। আজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের বাড়ি চলে যেতে বলেছেন। তাই বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মামলা হলেও সোবহানকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারিনি পুলিশ। সোবাহান আমার মেয়েকে যৌন পীড়ন করেছে। আমি তার শাস্তি চাই।’
এক শিশুর মা বলেন, ‘আমার স্বামী ও দেবর খাজানগরে অটো চাল মিলের শ্রমিক। গত রবিবার দুপুরে তাদের খাবার দেওয়ার জন্য আমি মিলে যাই। বাড়িতে আমার ৫ বছর বয়সী ও দেবরের ৩ বছর বয়সী শিশুকন্যা ছিল। এই সুযোগে তাদের মজা কিনে দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী সোবাহান হোসেন। নিজ ঘরে নিয়ে যৌন পীড়ন করে তাদের হাতে ৫ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়িতে ফিরে এসে দেবরের মেয়ে তার মায়ের কাছে ঘটনার কিছু বিবরণ দেয়। আমার মেয়ে পালিয়ে থাকে। তাকে খুঁজে বের করে আদর করে জিজ্ঞাসা করলে সোবহান কাকা তার সঙ্গে কী করেছে তা জানায়। বিষয়টি নিয়ে সোবাহানের বাড়িতে গেলে তার পরিবারের লোকজন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরবর্তীতে মেয়েদের তাদের হাসপাতালে ভর্তি করি।’
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে হাসপাতালে দুই শিশু ভর্তি হয়েছিল। তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। শিশু দুইটি জানিয়েছে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিয়েছিল অভিযুক্ত। সেটা যৌন পীড়নের সামিল। তবে ধর্ষণের কোন আলামত পাইনি। তাই পরীক্ষা নিরীক্ষার পর আজ তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, শিশু ও তাদের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে যৌন পীড়নের মামলা হয়েছে। আসামি পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।