রংপুর অফিস
প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২৩ ২১:০০ পিএম
আপডেট : ২০ জুলাই ২০২৩ ২১:৫৮ পিএম
রংপুর বিভাগে দাবদাহের পাশাপাশি তীব্র লোডশেডিং প্রকট আকার ধারণ করেছে। দিন-রাতে সমানতালে বিদ্যুতের আসা-যাওয়ায় স্বাভাবিক জীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। কলকারখানায় উৎপাদন অর্ধেকে নেমে গেছে। অপরদিকে তীব্র দাবদাহের কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শিশু-বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সি মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) রংপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুদিন ধরে তীব্র দাবদাহের কারণে স্থানীয়রা অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। স্থানীয়রা জানান, গরমে হিট স্ট্রোক, ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি, শিশুদের নিউমোনিয়া, ঠান্ডা, কাশি, জ্বর ও প্রস্রাবের সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আমন রোপণে ব্যাঘাত ঘটছে। বিদ্যুৎ না থাকায় সমস্যাগুলো আরও প্রকট হয়েছে উঠছে।
নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি পিএলসি সূত্রে জানা যায়, গত ১২ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের নেসকো ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৯৯১ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ পাওয়া গেছে ৬৯১ মেগাওয়াট। এতে করে বিভাগে মোট বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল ৩০০ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ ঘাটতির হার শতকরা ৩০ দশমিক ২৭ ভাগ।
রংপুর নগরীর নিউ জুম্মপাড়ার মুত্তাকিন ইসলাম বলেন, ’আমার এলাকায় বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় বিদ্যুৎ গিয়ে পৌনে ২টায় এসেছে। আবার সকাল সাড়ে ৪টায় গিয়ে সকাল সাড়ে ৬টায় ও সকাল ১১টায় গিয়ে বেলা ১২টায় বিদ্যুৎ এসেছে। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে অসহ্য গরমে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ছি।’
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ’দুয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
নেসকো রংপুরের প্রধান প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, ’আমরা ন্যাশনালি বিদ্যুৎ কম পাচ্ছি। তাই রেশনিং পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।’