× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সোনার বাংলার স্বপ্ন ছিল মানুষ শান্তিতে বাস করবে : সোহেল তাজ

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০২৩ ২১:৫৪ পিএম

আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৩ ২১:৫৫ পিএম

 গাজীপুরের কাপাসিয়ায় এক অনুষ্ঠানে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ। প্রবা ফটো

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় এক অনুষ্ঠানে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ। প্রবা ফটো

সোনার বাংলা পেতে আমাদের অনেক আত্বত্যাগ করতে হয়েছে। ত্রিশ লক্ষ শহীদের জীবন দিতে হয়েছে। হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা নিজের জীবন দিয়েছেন। লক্ষ কোটি মানুষ তাদের ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এই সোনার বাংলাদশের জন্য। এই সোনার বাংলার স্বপ্ন ছিলো এমন একটি দেশ হবে, যেই দেশের সব মানুষ, হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ সকল ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন।

শনিবার (২২ জুলাই) দুপুরে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার লতাপাতা নামক স্থানে বছরব্যাপী স্কুলভিত্তিক বইপড়া কর্মসূচী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়। 

সোহেল তাজ বলেন, গরীব-ধনী সবার অধিকার থাকবে। মানুষ সবাই সমান। একজন কৃষক যেমন, একজন ধনী ব্যবসায়ী তেমন। একজন কৃষকের যেমন অধিকার, একজন ধনী ব্যবসায়ীর একই অধিকার। কেউ কারো চেয়ে ছোট না, বড় না। যে দেশে সবার শিক্ষার অধিকার থাকবে। যদি শিক্ষিত হতে পারি এবং শিক্ষার আলোতে আলোকিত হতে পারি, তাহলে জ্ঞ্যান অর্জন করতে পারবো। জ্ঞান অর্জন যত করতে পারবো, তত আমাদের চিন্তা সম্প্রসারিত হবে। আমরা নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে তৈরী করতে পারবো। একটা সোনার বাংলাদেশ তৈরী করতে হলে, সোনার মানুষ লাগবে। 

তিনি আরো বলেন, আমাদের সোনার বাংলার আরেকটা স্বপ্ন ছিলো। সমান অধিকার, শিক্ষার অধিকার এবং সবাই যেন স্বাস্থ্য সেবা পায়। কেউ যেন অসুস্থ হয়ে বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়। এমন একটা সোনার বাংলাদেশের জন্য সেদিন এতো মানুষ জীবন দিয়েছিলো। আজকে এই কাজগুলো আমার বোন সিমিন হোসেন রিমি এমপি করছেন। তিনি বলেন, আজকে আমরা বইয়ের মাধ্যমে কি জানতে পারি? এই যে সোনার বাংলাদেশ—৫০ বছর স্বাধীনতা পেয়েছি। এই সোনার বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কাপাসিয়ার মাটির সন্তান। তার নাম তাজ উদ্দীন আহমদ।

আমি আজকে তাজউদ্দীন আহমদের সম্পর্কে দু-একটা কথা বলতে চাই। তিনি যখন মৃত্যুবরণ করেছেন, ওনাকে যখন ঘাতকেরা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ১৯৭৫ সালে হত্যা করেছে, তখন আমার বয়স মাত্র পাঁচ বছর। পাঁচ বছর বয়সে আমি আমার পিতাকে হারিয়েছিলাম। আমার পিতা সম্পর্কে যা জেনেছি, তা আমি বুকে ধারণ করেছি, আমার পিতা আমাকে শিক্ষা দিয়েছিলেন, দেশকে ভালোবাসতে হবে। আমার পিতা শিক্ষা দিয়েছিলেন দেশের মানুষকে ভালোবাসতে। কারণ তিনি আমাকে বার বার স্মরণ করে দিয়েছিলেন, এই দেশের জন্য অনেক মানুষ জীবন দিয়েছেন, আত্বত্যাগ করেছেন। আমাকে শিক্ষা দিয়েছিলেন, মানুষকে সম্মান করতে হবে। কিভাবে সম্মান করতে পারবো? দেশটাকে সুন্দর দেশ হিসেবে গড়ে তুললে তাদেরকে সম্মান দেওয়া হবে। আমার বাবা বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। একদিন আমার মা মাছ রান্না করেছিলেন।

আমি ছোট মানুষ। মাছের কাটা বেছে খেতে এতোটা আগ্রহী ছিলাম না। তখন বাবা বলেছিলেন, তুমি যে মাছ খাওয়া নিয়ে তালবাহানা করছো, তুমি জানো এই দেশের কোটি কোটি মানুষ দুই বেলা খাওয়া পায় না? তোমার কোনো অধিকার নেই খাওয়া নিয়ে তালবাহানা করার। তোমাকে যা দেওয়া হয়েছে তাই খেতে হবে। সেই ছোট্ট মানুষ হিসেবে তখন বুঝিনি, তিনি কেন এ কথা বলেছিলেন। বড় হয়ে বুঝেছি, মানুষের কষ্ট আমাদের বুঝতে হবে। সেই তাজউদ্দীন আহমদ সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি, তার বাইরে আমার জানার অনেক আগ্রহ।

আমি গিয়েছি বইয়ের পাতায়, ওনার প্রতিটি কর্মকান্ড, ইাতহাস বইয়ের পাতায়। এই দরদরিয়া গ্রামে ওনার জন্ম হয়েছিলো। দরদরিয়া এলাকা থেকে প্রাইমারি, কাপাসিয়া স্কুলে, পরে চলে গিয়েছিলেন ঢাকা সেন্ট গ্রেগরিতে…। শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করে, প্রতেকটি পদক্ষেপ নিয়েছেন বাংলাদেশকে নিয়ে চিন্তা করে। এগুলো আমরা জানতে পেড়েছি বইয়ের পাতা থেকে। তিনি একজন ভিন্ন মানুষ ছিলেন।

সোহেল আরো বলেন, তার ধনদৌলত, টাকাপয়সার প্রতি আকর্ষন ছিল না। তার আকর্ষণ ছিলো শুধু দেশের মানুষকে স্বাধীন করার। দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার। সেই লক্ষ নিয়ে তিনি কাজ করেছেন। আমরা শিক্ষা নেব যে, ধন-দৌলত প্রতিপত্তি থেকে সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে সততা এবং আত্ববিশ্বাস। তাজউদ্দীন আহমদ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধ করে, আামদের স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশের পতাকা ছিনিয়ে এনেছিলেন।

আজকে আমরা জাতিসংঘে যাচ্ছি, আমাদের পতাকা উঁচিয়ে ধরছি, সেটা হচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অর্জন। তাই আমি আজকে সবাইকে বলবো, তোমরা অবশ্যই বই পড়বে। যে বইটা পছন্দ সেটাই পড়বে। কারণ বইয়ের পাতার মধ্যে অজানা অনেক কিছু জানতে পারি এবং মানুষের জীবন থেকে, অন্য মানুষের জীবন থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি। সেটা আমাদের সমৃদ্ধ করবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের একজন সুনাগিরক হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে সহায়তা করবে। আামরা নিশ্চই সবাই চাই দেশটা সুন্দর করতে।

আজকে তোমরা সবাই শপথ নেবে, সৎ পথে থেকে, সত্যের পথে লড়াই করে মুক্তিযুদ্ধের সেই মহান বাংলাদেশকে আরো সুন্দর একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। তাজউদ্দীন আহমদ অ্যান্ড সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাজউদ্দিন আহমদের মেয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিমিন হোসেন রিমি এমপি।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা