শেরপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৩ ১৫:৩৫ পিএম
আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২৩ ১৬:০৬ পিএম
অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম রেজা। ছবি : সংগৃহীত
অর্থ আত্মসাতের মামলায় শেরপুরের জমশেদ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম রেজা ও তার তিন সহযোগীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে শেরপুর সদর জি আর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারিন ফারজানা এ আদেশ দেন।
আদালতের পরিদর্শক খন্দকার শহিদুল হক প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কারাগারে পাঠানো অপর তিন জন হলেন-ওই কলেজের প্রভাষক আলফাজ উদ্দিন, শহিদুল ইসলামের আত্মীয় শেখ জামাল ও হজরত আলী।
শহিদুল হক বলেন, ‘আসামিরা উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে আমলি আদালতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জামিননামা দাখিল ও আত্মসমর্পণ করেনি। বিষয়টি আমলে নিয়েই তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
আদালত সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার লছমনপুর ঘিনাপাড়া গ্রামের মোতালেব মিয়াকে জমশেদ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন শহিদুল ইসলাম। তার সঙ্গে সহযোগী হিসেবে ছিলেন আলফাজ উদ্দিন, জামাল ও হজরত আলী।
২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি মোতালেব মিয়ার কাছ থেকে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেন তারা। তিন মাসের মধ্যে চাকরি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মাস পেরিয়ে গেলেও চাকরি দিতে পারেননি ওই অধ্যক্ষ। পরে মোতালেব মিয়া চলতি বছরের ২৬ মে অধ্যক্ষের কাছে টাকা ফেরত চান। কিন্তু তিনি টাকার কথা অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় ৭ জুন মোতালেব মিয়া বাদী হয়ে অধ্যক্ষসহ চার জনের বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় মামলা করেন। পরে আসামিরা ১৩ জুন উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নেন। সেসময় উচ্চ আদালত তাদের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে জামিননামা দাখিল ও আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন।
এ ছাড়াও শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সই জালিয়াতি, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। তার অপসারণের দাবিতে জমশেদ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মিনহাজ উদ্দিন মিনালের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন দুর্নীতি প্রতিরোধের আন্দোলন হয়।
মিনহাজ উদ্দিন বলেন, ‘এই অধ্যক্ষ ও তার তিন সহযোগীকে কারাগারে পাঠানোর ফলে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।’