মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৩ ১৯:২১ পিএম
আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৪৫ পিএম
বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী ‘এম ভি মারস্ক নুসান্তরা’ নামের জাহাজটি নোঙর করে। প্রবা ফটো
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলার জেটিতে প্রথমবারের মতো সাড়ে আট মিটার গভীরতার জাহাজ নোঙর করেছে। বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী ‘এম ভি মারস্ক নুসান্তরা’ নামের জাহাজটি নোঙর করে। জাহাজে ৪৭৯ টিউজ কন্টেইনার এসেছে। এর মধ্যে ৩৬৭টি কন্টেইনারে রেডিমেড পোশাক, পাট ও পাটজাত এবং হিমায়িত পণ্য বোঝাই হয়ে বিদেশে রপ্তানি হবে।
এর আগে বন্দর জেটিতে যেসব জাহাজ এসেছে তার বেশিরভাগই সাত বা আট মিটার গভীরতাসম্পন্ন ছিল। জেটিতে প্রতিনিয়ত ড্রেজিং করার ফলে এই প্রথমবার সাড়ে আট মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়তে পেরেছে বলে জানান মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপসচিব মো. মাকরুজ্জান।
মো. মাকরুজ্জান বলেন, ’পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দক্ষিণবঙ্গের যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তার মধ্যে মোংলা বন্দর অন্যতম। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এ বন্দর দিয়ে রেডিমেড গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি শুরু হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দরের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ৫ জুলাই বিভিন্ন শিপিং এজেন্ট, খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, বিভিন্ন পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান, হিমায়িত মাছ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য বন্দর ব্যবহারকারীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা হয়।’
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ’মোংলা বন্দর জেটিতে সাড়ে আট মিটার গভীরতাসম্পন্ন জাহাজ ভেড়ায় বন্দরের জন্য একটি নতুন অধ্যায় সূচিত হলো। বন্দরের সক্ষমতা বেড়েছে কয়েকগুণ। পদ্মা সেতুর কল্যাণে এই বন্দর এখন বিশ্বমানের বন্দরে রূপান্তরিত হয়েছে।’
মোংলা বন্দরে দ্রুত জাহাজ হ্যান্ডেলিং করা, বন্দরে পর্যাপ্ত ইয়ার্ড ও শেড, জেটি অভ্যন্তরে কন্টেইনার স্টাফিং সুবিধা, পর্যাপ্ত ইকুইপমেন্ট সুবিধা ও নিরাপদ হওয়ায় এবং একই সঙ্গে ঢাকার সঙ্গে দূরত্ব কমে যাওয়ায় সময় ও অর্থ সাশ্রয়ী হওয়ায় ব্যবসায়ীরা মোংলা বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছে। এ বন্দর ব্যবহার করে রপ্তানি করা পণ্যের মধ্যে রেডিমেড গার্মেন্টস, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং হিমায়িত মাছ উল্লেখযোগ্য।