দিনাজপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৩ ২২:৫৬ পিএম
দেশের একমাত্র পাথর খনি দিনাজপুরের মধ্যপাড়া। প্রবা ফটো
দেশের একমাত্র পাথর খনি দিনাজপুরের মধ্যপাড়া মাসিক পাথর উত্তোলনে নতুন রেকর্ড করেছে। জুলাইয়ে খনি থেকে ১ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এটিই সর্বোচ্চ। এর আগে গত মে মাসেও ১ লাখ ৩৮ হাজার মেট্রিক টনের ওপরে সর্বোচ্চ পাথর উত্তোলন করে খনির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)।
খনি কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলিত হচ্ছে খনিতে। পাথর বিক্রি হচ্ছে গড়ে সাড়ে তিন হাজার মেট্রিক টন। বর্তমানে খনি ইয়ার্ডে চার লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি পাথর মজুদ রয়েছে।
মধ্যপাড়া খনি সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৫ মে খনির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পাথর উত্তোলন শুরু হয়। একপর্যায়ে লোকসানের বোঝা নিয়ে খনিটি বন্ধের উপক্রম হয়। এরপর কোরিয়ান নামনাম কোম্পানি পাথর উত্তোলন শুরু করলেও খনিটি লাভের মুখ দেখতে পায়নি। পরে ২০১৩ সালে জিটিসির সঙ্গে চুক্তি হয়। এরপর থেকে খনিতে প্রতিদিন পাথর উত্তোলন হচ্ছে পাঁচ হাজার থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার মে. টন। এতে করে খনিটি এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে প্রথম দফা চুক্তির মেয়াদ শেষে জিটিসির সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় চুক্তি করে স্থানীয় খনি কর্তৃপক্ষ মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (এমজিএমসিএল)। দ্বিতীয় দফা চুক্তিতে মাসিক উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন।
মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (এমজিএমসিএল) পাথর খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবু দাউদ মুহাম্মদ ফরিদুজ্জামান খনির বর্তমান অবস্থা নিশ্চিত করে বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগ থেকে পাথর আহরণ করা হলেও মধ্যপাড়া খনিতে ভূগর্ভ থেকে শিলা আহরণ করা হয়। এ কারণে এ পাথর সবচেয়ে শক্তিশালী এবং গুণে-মানে উন্নত। দেশের সকল প্রকল্পে মধ্যপাড়া খনির পাথর ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি অবকাঠামোতে মধ্যপাড়া খনির পাথর ব্যবহার করলে যেমন টেকসই হবে, তেমনি সরকারের রাজস্ব বাড়বে।