পঞ্চগড় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ১১:২৬ এএম
আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ১২:২২ পিএম
পুলিশ কনস্টেবল ফিরোজ আহমেদ। প্রবা ফটো
পঞ্চগড়ে দায়িত্বরত অবস্থায় মধ্যরাতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, পারিবারিক কলহের জেরে নিজের রাইফেল দিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাত ২টার দিকে জেলা শহরের সোনালী ব্যাংকের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফিরোজ আহমেদ দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার পলি মির্জাপুর আবতাবগঞ্জ এলাকার আবু সাঈদের ছেলে। সোনালী ব্যাংক পঞ্চগড় প্রধান শাখার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। পঞ্চগড় শহরে ভাড়া বাসায় স্ত্রীসহ থাকতেন।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ মিঞা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে ফিরোজের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, এক বছর আগে পঞ্চগড় পুলিশ লাইনসে যোগ দেন ফিরোজ। ৩১ জুলাই পঞ্চগড় সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় নিরাপত্তা বিভাগে অন্তর্ভুক্ত হন।
পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে অন্যান্য দিনের মতোই সোনালী ব্যাংকে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন ফিরোজ। মধ্যরাতে তিনি মোবাইলে জোরে জোরে কথা বলছিলেন। ব্যাংকের পাশেই পুলিশের ব্যারাক থেকে অন্যরা তার কথা শুনতে পান। ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।
রাত আনুমানিক ২টার দিকে হঠাৎ গুলির শব্দ শুনে অন্য সহকর্মীরা এসে দেখেন ফিরোজ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। দ্রুত পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মির্জা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই ওই পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তার থুতনির নিচে ও মাথায় মারাত্মক জখম হয়েছে। তার মাথা থেকে অনবরত রক্ত ঝরছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্ভবত রাইফেলের গুলিতে এমন জখম হতে পারে। ময়নাতদন্তের পর আরও বিস্তারিত জানা যাবে।’
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আবদুল লতিফ মিঞা বলেন, ‘প্রাথমিক ধারণা, পারিবারিক কলহের জেরে ওই পুলিশ সদস্য নিজেই মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন। তার বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’