কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ১২:৫৫ পিএম
আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ১৫:০৮ পিএম
পূর্ণিমার জোয়ারের ঢেউয়ের আঘাতে ভাঙছে সড়ক। শুক্রবার দুপুরে তোলা। প্রবা ফটো
পূর্ণিমার জোয়ারের ঢেউয়ের তোড়ে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের ভাঙন চলছেই। বৃহস্পতিবার রাত থেকে আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত দৃষ্টিনন্দন এ সড়কটির অন্তত পাঁচটি নতুন স্থানে ভাঙতে দেখা গেছে। সব মিলিয়ে গত তিন দিনে সড়কটির কমপক্ষে ১৫ স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভাঙনের কবলে পড়েছে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের বাহারছড়া ঘাট থেকে হাদুরছড়া বিজিবি ক্যাম্পসংলগ্ন শ্মশান পর্যন্ত ২ কিলোমিটার এলাকা।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টায় ওই এলাকার পশ্চিম মুন্ডার ডেইলসংলগ্ন নতুন করে ভেঙে গেছে ১৫০ মিটারের মতো। গতকাল ওই এলাকায় ৬০ মিটারের মতো সড়ক ভেঙে পড়ে।
ওই এলাকায় দেখা যায়, সমুদ্রে জোয়ারের সময় প্রবল ঢেউ এসে আঘাত হানছে সড়কে। সেখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের একটি বিশেষ ইউনিট জিওব্যাগ দিয়ে সড়ক রক্ষায় কাজ করছে।
আশপাশে বাহারছড়া, হাদুরছড়া, দক্ষিণ মুন্ডার ডেইল এলাকায় অন্তত ১৫ জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এসব জায়গার কয়েকশ ঝাউগাছ উপড়ে গেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, সড়কের পুবপাশে প্রভাবশালী অনেক ব্যক্তি জমি কিনেছেন। সে জমি ভরাট করতে সড়কের পাশের সৈকত থেকে অবাধে বালু তুলছে একটা শ্রেণি। এতে সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। এ ছাড়া সড়ক রক্ষায় দেওয়া জিওব্যাগগুলোও ফেটে যেতে শুরু করায় ঝুঁকি আরও বেড়েছে।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সেলিম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘ভাঙনের কারণে স্থানীয় প্রায় ২ হাজার পরিবারের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। দ্রুত ভাঙন ঠেকানো না গেলে সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। একই সঙ্গে সড়কের পূর্বর গ্রামের বসতঘর, জমিসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হবে।’
তিনি বলেন, ‘বড় ভাঙন রোধে সেনাবাহিনী কাজ শুরু করেছে। ছোট ছোট ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করা জরুরি।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেছে। এতে মেরিন ড্রাইভের সাবরাং বাহারছড়া ঘাট, মুন্ডার ডেইল, হাদুরছড়া ও পশ্চিম মুন্ডার ডেইল এলাকার বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর কাজ করছে।’