× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ঝালকাঠিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষ, আহত ১৫

ঝালকাঠি প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ১৬:৪৫ পিএম

আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ১৭:৪২ পিএম

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

ঝালকাঠিতে পারিবারিক বিরোধ সমাধানের সালিশ বৈঠকে বসে সংঘর্ষে জড়ালেন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাতে দুই দফা সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হন। পরে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ঝালকাঠি শহরের হোগলা পট্টি এলাকার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনিরের বাসভবনে প্রথম দফায় সংঘর্ষ হয়। দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষ হয় রাত পৌনে ১২টার দিকে শহরের লঞ্চঘাট এলাকায়।

ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন সরকার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

আহতরা হলেন-  জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রুবেল, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পদক ফারদিন আহমেদ সান, জেলা ছাত্রলীগ সদস্য সাকিব, আবদুল্লাহ আল অভি, ভৈরবপাশা ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি রাজিব হোসেন, সুলতান হাওলাদের স্ত্রী সালমা বেগম, মেয়ে হাফসা সুলতানাসহ অন্তত ১৫জন।

আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলামকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তিন জন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিরা হলেন- পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাকিব, মুন্না ও কালু।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ঝালকাঠি শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় স্থানীয় দুই ব্যবসায়ী সোহরাব হাওলাদার ও সুলতান হাওলাদারের মধ্যে তিন দিন আগে একটি বিষয় নিয়ে পারিবারিক বিরোধ হয়। বৃহস্পতিবার রাতে সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনিরের বাসভবনে সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকে ব্যবসায়ী সুলতান হাওলাদারের ছেলে নুরুন্নবী লিসান জেলা ছাত্রলীগের সদস্য হওয়ায় তার পক্ষে অবস্থান নেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম পারভেজ। অন্যদিকে শহর যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল হক খলিফা সালিশ বৈঠকে সোহরাব হাওলাদারের ছেলে জিহাদ হাওলাদারের পক্ষে অবস্থান নেন। বৈঠকের শুরুতে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এর জেরে মধ্যরাতে শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় উভয় গ্রুপের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে এবং উভয় পক্ষের চারজনকে আটক করে। হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের পর থেকে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

শহর যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল হক খলিফা বলেন, ‘প্রতিপক্ষরা আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসা-বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। এই ঘটনার বিচার চাই।’

সুলতানের ছেলে নুরুন্নবী লিসান বলেন, ‘সালিস বৈঠকে হামলা শেষে দ্বিতীয় দফায় হক খলিফা ও তার দুই ছেলে আমিন ও রাজিব খলিফার নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা আমাদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে।’

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘একটি সালিশ বৈঠকে বসে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সামনে আমার ভাই রফিকুল ইসলামকে হাতুড়ি পেটা করে গুরুতর আহত করে হক খলিফার দুই ছেলে। আমরা এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

এ বিষয়ে জানতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি তা ধরেননি।

ওসি নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, পরিস্থিতি শান্ত করতে রাবার বুলেট ছুড়তে হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষই মামলা করেনি। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা