কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ১৮:৪৬ পিএম
আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৩১ পিএম
গ্রেপ্তার তিন ছিনতাইকারী। প্রবা ফটো
কক্সবাজার সদরে ছিনতাইকারীদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলির ঘটনায় পরিদর্শকসহ সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ সময় অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিন ছিনতাইকারীকে।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) বিকালে সদর থানায় সংবাদ সম্মেলনে সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, জসিম উদ্দিন সোহেল ওরফে সোহেল রানা, আব্দুর রাজ্জাক ওরফে আজিজ ও মোহাম্মদ এহেছান ওরফে লালু।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস ও এসএম শাকিল হাসান, এসআই মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, এসআই মাসুম ফরহাদ, এসআই সৈয়দ সফিউল করিম, কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলম ও মো. মেহেদী হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে এএসপি মিজানুর জানান, মঙ্গলবার (১ আগস্ট) চট্টগ্রাম টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র শেখ সামির ইসলাম বাড়ি ফেরার পথে শহরের সার্কিট হাউস সড়কের ম্যাজিস্ট্রেট কলোনির সামনে পৌঁছলে ছিনতাইয়ের শিকার হন। এ সময় ছিনতাইকারীরা সামিরকে ছুরিকাঘাত করে মোবাইল, মানিব্যাগ ও ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় বুধবার সামিরের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় চার ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। আজ ভোরে সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ মুহুরীপাড়ার মো. হেফাজত উদ্দিনের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছিনতাইকারীরা পালানোর চেষ্টা করে এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে পুলিশ ছিনতাইকারী জসিম উদ্দিন ওরফে সোহেল রানাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। অন্যরা পালিয়ে যায়।
পরে গ্রেপ্তারদের দেহ তল্লাশি করে একটি বন্দুক এবং তিনটি ছোরা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার সোহেল রানার হাতে ও পেটে গুলি লেগেছে। ছিনতাইকারী চক্রের গুলিতেই সে আহত হয়। সোহেল রানাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় পুলিশের সাত সদস্য আহত হয়েছেন। সবাই কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
গ্রেপ্তারদের স্বীকারোক্তির বরাতে মিজানুর রহমান বলেন, আসামিরা সংঘবদ্ধ একটি অপরাধী চক্রের সদস্য। দলটির প্রধান গ্রেপ্তার জসিম উদ্দিন সোহেল ওরফে সোহেল রানা। তারা শহরের বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। জসিমের বিরুদ্ধে ছিনতাইসহ ১০টির বেশি মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে পৃথক আইনে দুটি মামলা করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।