রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৩ ১৭:৫৩ পিএম
আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২৩ ১৮:৪০ পিএম
বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে রায়পুর উপজেলার আমন ধানের জমি তলিয়ে রয়েছে। প্রবা ফটো
কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ৫০ হেক্টর কৃষি জমি (আমন ধান ও সবজি ক্ষেত) পানির নিচে তলিয়ে গেছে। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আটদিনের বৃষ্টি ও মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে রায়পুরের উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী, উত্তর চর-আবাবিল ও দক্ষিন চর-আবাবিল ইউনিয়নের ফসলি জমি পানির নিচে ডুবে গেছে। মেঘনা উপকূলে বেঁড়িবাধ থাকালেও জোয়ারে নদী তীরবর্তী ইউনিয়নের বাসিন্দাদের বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, টানা ভারী বৃষ্টিতে রায়পুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। এতে উপজেলার চারটি নিচু অঞ্চলের সব আমন ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। টানা ৪-৫ দিন পানিতে ডুবে থাকায় মধ্য বয়স্ক আমনের চারা গাছ পচে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। যার মধ্যে তুলনামূলক উঁচু অঞ্চলের আমন ক্ষেতের চারা গাছ দেখা গেলেও নিম্নাঞ্চলের অধিকাংশ ধান ক্ষেত এখনও পানিতে ডুবে রয়েছে। এভাবে টানা দীর্ঘ সময় পানিতে ডুবে থাকলে বাকি আমন ক্ষেত পচে নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় উপজেলার চাষিরা।
উত্তর চর-আবাবিল গ্রামের কৃষক মরন গাজী বলেন, অনেক টাকা খরচ করে ক্ষেতে আমন ধান রোপণ করেছিলাম। এখন ওই জমি পানিতে ডুবে সব গাছ পচে যাচ্ছে। বৃষ্টির পানির সঙ্গে ভেসে আসা কচুরিপানাসহ আবর্জনা জমিতে জমা হচ্ছে।
রায়পুর উপজেলা কৃষি অফিসার তহমিনা খাতুন বলেন, চলতি বছর ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে ১৮০ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছে। তবে খরার কারণে কৃষকরা পুরোদমে আবাদ করতে পারেননি। এ মাসজুড়ে তারা আবাদ করবেন। তবে জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে ৩০ হেক্টর জমির আমন ও ২০ হেক্টর জমির সবজি তলিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, বৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ারে রোপা আমন ৩০ হেক্টর ও বীজতলার ২০ হেক্টর জমি নিমজ্জিত হয়েছে। এ ছাড়া ৪০ হেক্টর জমির শাকসবজি পানিতে ডুবে আছে। পানি সরে গেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হবে। অনেক স্থানে আমনের জমি ডুবে আছে। যার মধ্যে কিছু বেঁচে যাবে এবং কিছু পচে নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।