গোদাগাড়ীর রাজবাড়ী হাট
রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৩ ১৬:০৮ পিএম
আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০২৩ ১৬:০৮ পিএম
দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রাজাবাড়ী হাট সংস্কার ও জায়গা বরাদ্দের নামে চাঁদা তোলার অভিযোগ। প্রবা ফটো
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ী হাট সংস্কার ও জায়গা বরাদ্দের নামে চাঁদা তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দীন সোহেল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দোকানপ্রতি ৩০ হাজার টাকা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমাদের ডেকে চেয়ারম্যান বলেছেন আপনাদের হাট সংস্কার ও জায়গা লিজ নিয়ে দেওয়া হবে। আপত্তি জানালে তিনি চাপপ্রয়োগ করে জানান, আপনাদের ক্ষয়ক্ষতি হবে না সে ব্যবস্থা করে দেব। কিছু টাকা দেবেন, লিজের কাগজ দেব। আমাদের বিরোধিতা সত্ত্বেও চেয়ারম্যান তার দালালের যোগসাজশে টাকা নেন। ব্যবসায়ীদের মধ্যে মহির উদ্দিন, বকুল, জগদীশসহ অনেকেই ৩০ হাজার করে টাকা দিয়েছেন। এটা সড়কের জায়গা, তিনি কীভাবে লিজ দেন।’ গত মঙ্গলবার অ্যাসিল্যান্ড ও উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে যাওয়ার পর টাকা নেওয়া বন্ধ আছে বলেও জানান তিনি।
কাপড় ব্যবসায়ী আসাদুল হক বলেন, ‘দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান হাট সংস্কার ও জায়গা বরাদ্দের নামে আমাদের কাছে টাকা চেয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) টাকা দিতে গিয়েছিলাম তবে টাকা নেয়নি। উপজেলা চেয়ারম্যান ও অ্যাসিল্যান্ডের কাছে ব্যবসায়ীরা যাওয়ার পর টাকা নেওয়া আপাতত বন্ধ আছে। তবে দোকানপ্রতি ৩০ হাজার টাকা অনেকের কাছ থেকেই নিয়েছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, টাকা চাওয়ার পর চেয়ারম্যান তার চাচাতো ভাই সাবেক ইউপি সদস্য মো. উৎসবের মাধ্যমে প্রায় ৪০ জন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। বিষয়টি অস্বীকার করে মো. উৎসব জানান, যারা বলছে, সঠিক বলছে না।
এ ছাড়া অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দীন সোহেল বলেন, ‘যারা এসব বলছে ঠিক না। কারও কাছ থেকে কোনো টাকাপয়সা নিইনি। কারও জায়গা দখল করেছি, এমনটাও নজির নেই। আমার জানামতে, এর আগে অ্যাসিল্যান্ড ও তহসিলদার সেখানে গিয়েছিল।’
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদ হাসান বলেন, ‘কয়েকজন ব্যবসায়ী রাজাবাড়ী হাটের লিজ দেওয়া হবে কি না, তা জানতে এসেছিল। তবে কেউ টাকা নিচ্ছেন এমনটি আমার জানা নেই।’
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘রাজাবাড়ী হাটের কয়েকজন ব্যবসায়ী এসেছিল অভিযোগ নিয়ে। তাদের দেখে মনে হয়েছে নিরীহ টাইপের। তাদের পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছি হাট সংস্কার বা লিজ দেওয়া হলে অন্তত উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে আমার জানা থাকবে বা চিঠি আসবে। বিষয়টি তাদের বুঝিয়ে বলা হয়েছে।’