বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৩ ২২:৩৪ পিএম
বোয়ালখালী পৌরসভার মেয়র জহুরুল ইসলাম জহুর। প্রবা ফটো
কালুরঘাটের ফেরি ব্যবস্থাপনা এবং সড়ক ও জনপদ (সওজ) অধিদপ্তরের গাফিলতি নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভার মেয়র জহুরুল ইসলাম জহুর। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) ভোরে ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘মাননীয় সচিব ও এমপির সাথে কথা হয়েছে, সকাল ৭টা থেকে ফেরি চলবে দুইটা। আজ (শুক্রবার) সকালেও ফেরি চলছে একটা। চারিদিকে গাড়ির লাইন। হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। এদেরকে (সওজ) যখনই বলি, জিজ্ঞেস করি- বলে দুইটা ফেরি চলে। কিন্তু এখন দেখতেছি, একটি ফেরি চলতেছে। এদের কাছে জিজ্ঞেস করলে কোনো সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। আমি মাননীয় ডিসি মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেছি, এরা যে কথাগুলো বলে মিথ্যা বলে। ফেরি চালায় একটা, মাঝেমধ্যে দুইটা। তাও এদের ইচ্ছে অনুযায়ী।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর আছে- এরা যদি ফেরি কম চালায় তাহলে নৌকা করে যারা যাত্রী পারাপার করে তাদের থেকে এরা টাকা নেয়। যাতে নৌকা করে মানুষ চলাচল করে সে ব্যবস্থাই করে চালকরা। তারা কেন একটি ফেরি চালায়, এর পেছনে রহস্য কী? তা খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার অনুরোধ করছি। আমি সড়ক ও জনপথ বিভাগের দায়িত্বশীলদেরও এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ অসুবিধায় আছেন। প্রাণের দাবি কালুরঘাট সেতু হচ্ছে না। তার ওপর সংস্কারের জন্য তা বন্ধ করে ফেরি দেওয়ার কথা হলে গত মে মাসে মিটিংয়ে বলেছিলাম, চারটি ফেরি থাকতে হবে। দুটি কনটিনিউ চালু থাকতে হবে। জোয়ারের সময় ৩-৪ ঘণ্টা ফেরি যাতে বন্ধ না হয়- রোডগুলো উঁচু করতে হবে। তারা কোনো কথায়ই কর্ণপাত করে নাই।’
তিনি বলেন, ‘আজ (গতকাল) শুক্রবার হিন্দুদের একটা ধর্মীয় পূজা আছে। হাজার হাজার গাড়ির লাইন, তারা বলছে ড্রাইভারদের ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। এমন অসৎ আচরণ মেনে নেওয়া যায় না।’