× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

তারেক রহমান চান না বিএনপি নির্বাচনে যাক : নওফেল

চট্টগ্রাম অফিস

প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৩ ২০:৩৬ পিএম

আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২৩ ২০:৪৮ পিএম

তারেক রহমান চান না বিএনপি নির্বাচনে যাক : নওফেল

বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসা যাবে না জানিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, কোনো দাবিদাওয়া থাকলে এই সরকারের সঙ্গেই আলোচনায় বসতে হবে। তারেক রহমান খুব ভালোভাবে জানেন, নির্বাচনে বিএনপি জিতলেও তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। কারণ তিনি সাজাপ্রাপ্ত আসামি, রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করলে তখন হয়তো পারবেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি তো তাদের দলীয় রাষ্ট্রপতি নন আর রাষ্ট্রপতির মেয়াদও আছে। সুতরাং নির্বাচন হলে তার কোনো লাভ নেই বরং লন্ডনে বসে রাজনীতির নামে যে চাঁদাবাজি করছেন, সেটা হারাবেন। তাই তিনি চান না যে বিএনপি নির্বাচনে যাক।

শনিবার (১৯ আগস্ট) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল, তার ধারাবাহিকতা এখনও আছে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ২৪ শতাংশ মানুষ বাংলাদেশের পক্ষে ভোট দেয়নি, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে ভোট দেয়নি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর সেই বাংলাদেশবিরোধী চক্রকে যেভাবে রাষ্ট্রীয়ভাবে সহযোগিতা করে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে রাষ্ট্রীয় প্রণোদনা দিয়ে, উৎসাহ দিয়ে, সহযোগিতা দিয়ে তাদের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়ানো হয়েছে, সেটা কিন্তু রাষ্ট্রের জন্য এখনও হুমকি হয়ে আছে। আগামী দিনে আরও বড় হুমকি হয়ে সামনে চলে আসার সম্ভাবনা আছে। জিয়াউর রহমান এই বাংলাদেশবিরোধী চক্রকে রাষ্ট্রীয়ভাবে এবং অর্থনৈতিকভাবে প্রণোদনা দিয়ে সামনে এনেছেন। দেশি-বিদেশি শক্তির প্রণোদনায় তারা এখন আরও বেড়ে উঠছে। তাদের প্রতিহত করার রাজনৈতিক সংগ্রামে আমরা আছি, বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে টিকিয়ে রাখতে হলে এর থেকে এক চুলও নড়া যাবে না।’

জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ছিলেন, খুনি জিয়া রাষ্ট্রপতির মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন, তাকে জেনারেল বলে সম্বোধন করা জেনারেল উপাধির প্রতি অসম্মানজনক বলেও মন্তব্য করেন নওফেল।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে যে পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন, তাতে তিনি অনেক বিশ্ব পরাশক্তির গাত্রদাহের কারণ হয়ে গেছেন। সেই বিদেশি পরাশক্তি আমাদের সুশঙ্খল বাহিনীকে টার্গেট করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীরা টাকাপয়সা খরচ করে বিদেশি শক্তির মধ্যে ঢুকে সেখানকার সরকারের ভেতরের অতি উৎসাহী লোকজনকে দিয়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। আবার এটাও সত্যি যে, তাদের মধ্যেও অনেক ভালো মানুষ আছেন। এই বাংলাদেশ, এই উপমহাদেশ, এই অঞ্চল একজন শেখ হাসিনাকে ছাড়া যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মুখে পড়বে, সেটা তারা বুঝতে পেরে আক্রমণাত্মক ভূমিকা থেকে সরে এসেছে। বিদেশি রাষ্ট্রে টাকাপয়সা দিয়ে, লবিং দিয়ে অনেক কিছু করা যায়। সেই টাকা দিয়ে, লবিং করে আমাদের পুলিশ-সেনাবাহিনী এমনকি আমাদের বিচারঙ্গনের বিরুদ্ধে নানা ধরনের মনগড়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবেদন দেওয়া হচ্ছে।’

নওফেল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সংবিধান সংশোধন করে বিচারের পথ রুদ্ধ করে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছিল, সেটা নিয়ে আজ পর্যন্ত কেউ কথা বলল না, প্রাতিষ্ঠানিক কোনো উচ্চবাচ্য করল না। কিন্তু এখন আমাদের নির্বাচনকে মাথায় রেখে হস্তক্ষেপকামী কিছু ব্যক্তি হীনস্বার্থে আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। আমরা ভালোই জানি, এরা শক্তের ভক্ত নরমের যম। এ ধরনের বৈশ্বিক পরাশক্তিগুলো সন্ত্রাসবাদী হিসেবে পরিচিত, ঘোষিত তালেবানি শক্তির সঙ্গে শান্তিচুক্তি করেছে। তাদের কোনো চিরস্থায়ী বন্ধু নেই। তাদের স্বার্থ যেখানে, তারা সেদিকেই থাকে। এই রাষ্ট্র, এই সরকার, আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের স্বার্থবিরোধী কিছুই করেনি। কিন্তু টাকাপয়সা খরচ করে, লবি দিয়ে বুঝিয়ে আরেকটি পঁচাত্তরের পনের আগস্টের পরিস্থিতি ঘটানোর চেষ্টা হচ্ছে। এই আগস্ট মাস এলেই তাদের নানা ধরনের তৎপরতা দেখা যায়। ২০১৮ সালের আগস্টে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের নামে শিশু-কিশোরদের রাস্তায় নামিয়ে হত্যা-রক্তপাতের গুজব ছড়ানো হয়েছিল।’

তিনি বলেন, বিএনপি প্রচার করে যে, জিয়াউর রহমান নাকি বিভিন্ন বাহিনীতে খুবই জনপ্রিয় ছিলেন। যদি জনপ্রিয়ই থাকতেন, তাহলে তার শাসনামলে ২৬ বার ক্যু কীভাবে হয়, ১৩০০ সামরিক কর্মকর্তাকে তিনি কিভাবে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলেন, বিমানবাহিনীতে গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে ক্যুয়ের নাটক করে কীভাবে দুইশর বেশি অফিসারকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল, এত নির্মম হত্যাযজ্ঞ কীভাবে চালানো হয়েছিল? এতকিছুর পরও মোটাদাগে আমাদের পুলিশ, আমাদের সেনাবাহিনী, আমাদের বাহিনীগুলো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, সত্যের পক্ষে ছিল। না হলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি প্রতিষ্ঠিত হতো না। শেখ হাসিনার সরকার কোনো বহির্শক্তির তাবেদারি করে না। আমরা বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক, সাম্যের রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এজন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল রাজনৈতিক শক্তি, আমাদের সকল বাহিনী, সকল প্রতিষ্ঠান আজ ঐক্যবদ্ধ। সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সব বাহিনী, সব প্রতিষ্ঠান ঐক্যবদ্ধ। 

সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়ের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. অনুপম সেন, দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত জেলা কমান্ডার একেএম সরওয়ার কামাল।

সভা শেষে প্রধান অতিথি জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন ও আদর্শকে প্রতিপাদ্য বিবেচনা করে আয়োজিত ‘আবৃত্তি, রচনা লিখা, চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতায়’ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা