আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন
খুলনা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৩ ১৯:০৩ পিএম
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৪১ পিএম
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি মো. মমতাজুল হক। ছবি: প্রবা ফটো
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) তিন পুলিশ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রবিবার
(২০ আগস্ট) পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও তদন্তের সত্যতা স্বীকার করেছেন খুলনা
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ।
তিনি
বলেন, ’এই তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তের অনুমোদনের জন্য ঢাকা
প্রধান অফিসে চিঠি দেওয়া হয়। হেড অফিসের অনুমোদন পাওয়ার পর অভিযোগের সত্যতা অনুসন্ধানে
চলতি মাসের ১৩ তারিখে বিভিন্ন ব্যাংক ও সরকারি দপ্তরগুলোতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিগুলোর
জবাব এখনও পাওয়া যায়নি। চিঠির জবাব পাওয়ার পর অভিযোগ সত্য না মিথ্যা, তা প্রাথমিকভাবে
জানা যাবে।’
তরুণ
কান্তি ঘোষ বলেন, ’তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মিললে পুলিশ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের
সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলাসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অভিযুক্তদের
মধ্যে রয়েছেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি মো. মমতাজুল হক,
উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাশ ও সোনাডাঙ্গা থানার অধীনে বয়রা পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী
উপপরিদর্শক (এএসআই) পলাশ মৈত্র।
তরুণ
কান্তি ঘোষ জানান, সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসির বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও মাদক কারবারসহ
নানা অনিয়মের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। মমতাজুল হক সাতক্ষীরা
জেলা সদরের মধুমল্লারডাংখী-পলাশপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এ
ছাড়া সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই সুকান্ত দাশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তিনি ঘুষ, দুর্নীতি
ও মাদক কারবারের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। ফলে তার স্ত্রী রাখী
দাশ ও ছেলে সৌর দীপ্ত দাশের নামে জমি, প্লট, ফ্ল্যাট ক্রয়-বিক্রয় ও লিজ রয়েছে
কি না, তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। সুকান্ত দাশ খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার দক্ষিণ কালিকাপুর
গ্রামের বাসিন্দা।
একই
অভিযোগে সোনাডাঙ্গা বয়রা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই পলাশ মৈত্র ও তার স্ত্রী ইসমিতা রানী
মণ্ডল ও সন্তান প্রত্যয় মৈত্রের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্ত
করছে দুদক। পলাশ মৈত্র বাগেরহাট জেলার রামপাল থানার সুন্দরপুর রোডের বাসিন্দা।
অভিযোগের
বিষয়ে খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি মমতাজুল হক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘কেএমপিতে স্বল্প সময় যোগ দিয়েছি। সে কারণে এখনও বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত না। তাদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’