জমি নিয়ে বিরোধ
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৪৭ পিএম
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৫৯ পিএম
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ ১৩ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (২০ আগস্ট) রাতে উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়নের করইতলা মুসলিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ছানা উল্যাহ, সাইফ উল্যাহ, মো. শাহজাহান, মনেজা খাতুন, শামছুন্নাহার, তাছলিমা ও বকুল বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই ছানা উল্যাহকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহত অন্যরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, ২১ শতক জমি নিয়ে ওই এলাকার মো. শাহাজানের সঙ্গে তার ফুফাতো বোন একই বাড়ির বাসিন্দা বকুল বেগমের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। আদলতের নির্দেশে স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার রবিবার বিকালে সরেজমিনে তদন্ত করতে যান। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে রাত ৮টার দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে সাত নারীসহ উভয় পক্ষের ১৩ জন আহত হন।
আহত বকুল বেগম জানান, জমির প্রকৃত মালিক তিনি হলেও মামাতো ভাই শাহাজান জোরপূর্বক জমিটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। যে কারণে তিনি আদালতে মামলা করেছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়েই প্রতিপক্ষরা তাদের ওপর হামাল চালিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘হামলায় আমার ভাই ছানা উল্যাহ, সাইফ উল্যাহ, মা মনেজা খাতুন, ভাবী শামছুন্নাহার, তাছলিমা, ভাগ্নি রুমি ও ভগ্নিপতি আলী হোসেন আহত হয়েছেন। আমি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
মো. শাহাজান দাবি করেন, জমিটি তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছেন। বকুল বেগম হঠাৎ করে জমিটি তার নিজের বলে দাবি করছেন। ঘটনার সময় প্রথমেই বকুলের লোকেরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। যা পরবর্তীতে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে তিনিসহ তার পক্ষের জামাল হোসেন, কামাল হোসেন, শিরিন আক্তার ও নার্গিস আক্তার আহত হন।
চরলরেন্স ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জাফর আকবর হোসাইন জানান, বকুল বেগম নামে এক নারী ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারির জন্য মামলা করলে আদালতের নির্দেশনা পেয়ে তিনি সরেজমিন তদন্তের জন্য যান। তার উপস্থিতিতেই দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে ঝগড়া মিটিয়ে তিনি তদন্তকাজ শেষ করেন। শিগগরিই তদন্ত রিপোর্ট আদালতে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।