বরগুনা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৩ ২২:৫৬ পিএম
বরগুনার আরডিএফ টাওয়ারে প্রকল্পটির ফলাফল উপস্থাপনা অনুষ্ঠান। প্রবা ফটো
বরগুনায় উন্নত উৎসের পানি পানের হার বাড়লেও ৪০ শতাংশ পানিতে ব্যাকটেরিয়া দূষণ রয়েছে। সম্প্রতি নেদারল্যান্ডস সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় ওয়াশ এসডিজি প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সোমবার (২১ আগস্ট) বরগুনার আরডিএফ টাওয়ারে প্রকল্পটির ফলাফল উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রকল্পের বেইজলাইন ও এন্ডলাইন জরিপের প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, বরগুনায় উন্নত উৎস থেকে পানি পানের হার বাড়লেও এর নমুনার ৪০ শতাংশতে ই-কলি ব্যাকটেরিয়া এবং ৯ শতাংশতে আর্সেনিক পাওয়া গেছে। গড়ে ৯ দশমিক ৫ মিনিট পানীয়জলের উৎসের দূরত্ব কমেছে। এ ছাড়াও খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ প্রায় শূন্যের কোঠায় এবং হাইজিন অনুশীলন ৯ থেকে এখন ৯৩ শতাংশে এসেছে। জরিপে মোট ১১১০ খানা, ২৯ স্কুল, ৯ কমিউনিটি ক্লিনিক অংশগ্রহণ করে। যেখানে আর্সেনিক, লবণাক্ততা এবং ই-কলি ব্যাকটেরিয়া তিনটি প্যারামিটারে মোট ৫৫৫ খানার পানির নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
২০১৮ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পে পানি, স্যানিটেশন এবং হাইজিন-সম্পর্কিত বিষয়ে প্রথম জরিপ করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসে শেষ জরিপেও একই বিষয় বিশ্লেষণ করা হয়।
আরডিএফ টাওয়ারে অনুষ্ঠিত ফলাফল উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে সিমাভির মনিটরিং ইভ্যালুয়েশন অ্যান্ড লার্নিং অফিসার শামসুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বরগুনা পৌরসভার প্যানেল মেয়র হোসনেয়ারা চম্পা। বিশেষ অতিথি ছিলেন- বরগুনা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাইসুল ইসলাম, ওয়াশ এসডিজি নাগরিক কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট সঞ্জীব দাস, বুড়িরচর ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির, কেওড়াবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এসময় উন্মুক্ত আলোচনায় প্রতিনিধিরা বলেন, ওয়াশ এসডিজি প্রকল্পের আওতায় কর্মসূচি গ্রহণ করায় স্থানীয় সরকারের পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন বাজেট বরাদ্দ কয়েকগুণ বাড়িয়েছে। পাশাপাশি ওয়াশ এসডিজি নাগরিক কমিটির সহায়তায় বিভিন্ন উঠান বৈঠকে সবার মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে।