নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৩ ১৮:৩২ পিএম
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৩ ২২:১৩ পিএম
নবীনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক জিয়াউল হক মীরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৩ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব ড. মাসুরা বেগম স্বাক্ষরিত এই সংক্রান্ত একটি চিঠি দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জিয়াউল হক মীর বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘তদন্তের নির্দেশনা পত্রটি দেখেছি। এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে পাইনি। পাওয়ার পর যথাসময়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেব।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাদেকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিলেন ইসলামী ঐক্য জোটের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নবীনগর উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সহসভাপতি মাওলানা মেহেদী হাসান। চলতি বছরের ২৫ মে করা দুই পাতার আবেদনে সাদেকের বিরুদ্ধে অর্ধ শতাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই অর্থ আত্মসাতসহ নানা অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগের তদন্ত করে চেয়ারম্যান পদ থেকে তাকে অব্যাহতি ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয় আবেদনে। ওই সময় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনে প্রতিকারের দাবিতে নবীনগর উপজেলা সদরে একটি মানববন্ধনের ডাক দেন মেহেদী হাসান। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে এ নিয়ে সব মহলে আলোচনার ঝড় ওঠে। তখন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল দুই পক্ষকে তার গ্রামের বাড়িতে (বাড়াইল) তলব করেন।
এ বিষয়ে মেহেদী হাসান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘নবীনগরের সুনাম ক্ষুণ্ণ যেন না হয়, এ কারণে সে সময় এমপি মহোদয়ের পরামর্শে আমি মানববন্ধন করিনি। তবে সুষ্ঠু তদন্তে প্রকৃত সত্যটা বেরিয়ে আসুক, সেটি এমপি মহোদয় নিজেও চান।’
জানতে চাইলে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও লাউর ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সাদেক বলেন, ‘আগেও বলেছি এখনও বলছি, আমার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ ষড়যন্ত্রমূলক এবং কাল্পনিক ও অসত্য। সুষ্ঠু তদন্ত হলে সব অভিযোগই মিথ্যা প্রমাণিত হবে। তাই আমি সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় প্রস্তুত।’
এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় সংসদ সদস্য (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫) এবাদুল করিম বুলবুলের ফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে উপসচিব মাসুরা বেগম বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’