কুষ্টিয়া প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৩ ২২:২৫ পিএম
কুষ্টিয়ায় তরুণীকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। প্রবা ফটো
কুষ্টিয়ায়
এক আইনজীবীর ফ্ল্যাট থেকে জান্নাতুল ফেরদৌস তুলি নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায়
মামলা হয়েছে। গত বুধবার রাতে নিহত তরুণীর মা শরিফা বেগম বাদী হয়ে কুষ্টিয়া সদর মডেল
থানায় এ মামলা করেন।
মামলায়
পাঁচ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন-আইনজীবী
মাহবুবুর রহমান সুমন, মোছা. এশা, মো. মজিবর, মোছা. দোলা ও মো. আনোয়ার।
বৃহস্পতিবার
(২৪ আগস্ট) সকালে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান মামলার
বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘নিহতের মা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে
অভিযান অব্যাহত আছে।’
এদিকে
হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিসি কোর্ট চত্বরে এই মানববন্ধন কর্মসূচি করা হয়।
গত
বুধবার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে তুলির মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। হাসপাতালের
আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা মৃত্যুর
কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে সংগৃহীত আলামতের রাসায়নিক ও ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন।
রিপোর্ট এলে পূর্ণাঙ্গ ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।’
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের মজমপুর এলাকার মফিজ উদ্দিন লেনে আইনজীবী মাহমুদুল হাসান সুমনের ভাড়া বাসার একটি ফ্ল্যাট থেকে তুলির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে শহরের মোল্লাতেঘড়িয়া এলাকার মোল্লা পাড়ার ওহিদুল ইসলামের মেয়ে এবং কুষ্টিয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সুমন পলাতক রয়েছেন।