তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২২ ১৭:৩৪ পিএম
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তীব্র গরম আর বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পানিতে নেমে স্ততি খোজার চেষ্টায় কিশোররা
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তীব্র গরম আর লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের জনজীবন। গত কয়েক দিনে লোডশেডিং বেড়েছে কয়েকগুণ। দিনে এক ঘণ্টা পর আর রাতের বেলা চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় লোডশেডিং হয়। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে উপজেলার হাজারও মানুষ। এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ তাড়াশ জোনাল অফিসের দাবি ৩৩ কেভির পুরানো লাইন মেরামতে কাজ চলায় সরবাহ কমে লোডশোডিং চলছে।
রাত-দিন অনবরত লোডশেডিংয়ে জীবনযাপন হয়ে উঠেছে অসহনীয় কষ্টের। প্রচন্ড রোদের কারণে মানুষজন প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বের হলেও শান্তি মিলছে না ঘরেও। কারণ একটাই-বিদ্যুতের ঘন ঘন আসা-যাওয়া। আর বিষয়টি এখন নিত্যনৈমত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। মধ্যরাত কিংবা ভোরেও বিদ্যুৎহীনতার যন্ত্রণা পোহাতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ঘটছে ছন্দপতন।
অন্যদিকে লোডশেডিং নিয়ে আলোচনার ঝড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। তাড়াশের বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী মো. সাইফুল ইসলাম তার ফেসবুকে লিখেছেন, তাড়াশ পল্লী বিদ্যুৎ এর সার্ভিসটা অনেকটা আমাশয় রোগীর মতো! উপজেলার লালুয়া মাঝিড়া গ্রামের শিক্ষক, কবি ও সাহিত্যিক মো. জহুরুল হক খন্দকার লিখেছেন, এসো হে বিদ্যুৎ, তুমি এসো। গ্রাহক আলমগীর হোসেন লিখেছেন, বিদ্যুৎ যায় না, মাঝে মাঝে আসেন। আকতার হোসেন লিখেছেন, রাস্তায় রাস্তায় শুধু শতভাগ বিদ্যুায়িত উপজেলা লেখা সাইন বোর্ড ঝুলানো আছে। তাড়াশ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন সামাজিক সংগঠনটি লিখেছেন, তাড়াশের বিদ্যুত ১০/১৫ মিনিট পর পর কোথায় যায় বলতে পারেন?
তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হওয়া মাধাইনগরের ডায়ারিয়া রোগীর স্বজন আবুল কাশেম বলেন, ৪ বছর বয়সের এক নাতিকে ভর্তি করেছি। কিন্তু ঘন ঘন লোড শোডিং হওয়ার কারণে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বাধ্য হয়ে হাসপাতালের প্রধান গেটে ফাঁকাস্থানে মাদুড় পেতে বসে আছেন।
তাড়াশ পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের ম্যানেজার (ডিজিএম) নিরাপদ দাস বলেন, সিরাজগঞ্জ শিয়ালকোল ৩৩ কেভি ষ্টেশন থেকে সিরাজগঞ্জ রোড পর্যন্ত ১৫-২০ কি.মি. পুরোনা লাইন মেরামতে ৩টি টেন্ডারে কাজ চলমান রয়েছে। বিকল্প ভাবে শাহজাদপুর তাড়াশ বিদ্যুতের চাহিদা ১২ মেগাওয়াট। আমরা পাচ্ছি ৩ মেগাওয়াট। ফলে চার ভাগের ১ ভাগ পাওয়া যাচ্ছে। যা দিয়ে কোন রকমে চলছে। তিনি আরও বলনে, মেরামতের সময় ৩৩ কেভি বন্ধ ও চালু করতে ১০-১৫ মিনিট সময় লাগে এবং অন্যান্য কারণে একাধিক বন্ধ হওয়ায় প্রতিদিনই কিছু স্থানে বিদ্যুতের লোডশেডিং হচ্ছে।