রাঙামাটি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৩ ১৫:২৪ পিএম
আপডেট : ৩০ আগস্ট ২০২৩ ১৫:৪৪ পিএম
হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সড়ক অবরোধ কর্মসূচি। প্রবা ফটো
রাঙামাটির লংগদুতে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুর রহিমের জামিন বাতিল করে তাকে ফের গ্রেপ্তার ও যাবজ্জীবন সাজা বহালের দাবিতে হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ অর্ধদিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে।
বুধবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।
অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে সকাল ৬টা থেকে জেলার কাউখালী সদর, ঘাগড়া, বেতবুনিয়া, বাঘাইছড়ির সাজেক, বাঘাইহাট, মাচালং উজোবাজার, নানিয়ারচর উপজেলা সদর, বেতছড়ি, ঘিলাছড়ি, ১৮ মাইল, রাঙামাটি সদরের কুতুকছড়ি, সাপছড়িসহ বিভিন্ন স্থানে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিং করে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
অবরোধ কর্মসূচি শেষে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের রাঙামাটি জেলা সভাপতি রিমি চাকমা বলেন, ‘সড়ক ও নৌপথ অবরোধের মাধ্যমে আমরা সরকার ও প্রশাসনকে এই বার্তা দিতে চাই যে, যদি অবিলম্বে আব্দুর রহিমের জামিন বাতিল ও যাবজ্জীবন সাজা বহালসহ বিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিস্কার করা না হয় তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আরও বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। একজন ধর্ষকের বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার কোনো নৈতিক অধিকার নেই।’
রিমি চাকমা আরও বলেন, ধর্ষণ একটি মানববতা বিরোধী অপরাধ। তাই ধর্ষণ ও ধর্ষণকারীর বিরুদ্ধে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। ধর্ষকরা যাতে রেহাই না পায় সেজন্য তিনি প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান।
অবরোধ কর্মসূচি সফলভাবে পালনে সহযোগিতা করার জন্য জেলার বাস, ট্রাক, লঞ্চ, বোট, সিএনজি মালিক-চালক সমিতিসহ প্রশাসন ও জনগণকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
অবরোধের সময় রাঙামাটি সদর থেকে কোনো দূরপাল্লার যানবাহন চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি।
দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুর রহিমকে তার পদ থেকে স্থায়ী বহিষ্কারসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বুধবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কার্যকর করা হলেও পরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আধাবেলার অবরোধ শিথিল করে ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা করা হয়।
আব্দুর রহিমকে ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর তার স্কুলের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় রাঙামাটি আদালত ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পরে আব্দুর রহিম ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে বিবাহ করা এবং এক একর জমি লিখে দেওয়ার অঙ্গীকার করে হাইকোর্ট থেকে জামিন নেয়। জামিন পাওয়ার পর পরই আব্দুর রহিম স্কুলে যোগদান করলে ক্ষুব্ধ হন স্থানীয় অভিভাবক, সচেতন জনগণ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।