লক্ষ্মীপুরে কলেজছাত্রীকে মারধর ও হত্যাচেষ্টা, আসামি গ্রেপ্তার

লক্ষ্মীপুরে কলেজছাত্রীকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার মামলায় তানজীদ আহম্মেদ রিয়ান নামের এক কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আল-আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিন ভোরে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের দক্ষিণ মজুপুর এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

এর আগে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের এক ছাত্রীকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রিয়ান ও তার মায়ের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫ জনকে আসামি করে মামলা হয়।

গ্রেপ্তার রিয়ান দক্ষিণ মজুপুর গ্রামের রাফি আহম্মদের ছেলে ও দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। 

এজাহার সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ওই ছাত্রী কলেজ আসা-যাওয়ার পথে রিয়ানের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। রিয়ান ও তার মা তাহমিনা কৌশলে দুটি অলিখিত নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে ওই ছাত্রীর স্বাক্ষর নেন। পরে রিয়ানকে ছাত্রীর স্বামী দেখিয়ে জালিয়াতি করে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ের হলফনামা করা হয়। গত ২৯ আগস্ট দুপুর সোয়া ১টার দিকে কলেজ যাওয়ার পথে মদিন উল্যা হাউজিংয়ের সামনে রিয়ানসহ অজ্ঞাত আসামিরা তার গতিরোধ করে। একপর্যায়ে তাকে জোরপূর্বক সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। যেতে রাজি না হওয়ায় তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারে রিয়ান। এ সময় চিৎকার করলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিয়ান তার কপালে আঘাত করে। এক পর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যাচেষ্টাও করা হয়। পরে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ছাত্রীকে রাস্তায় ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

সদর মডেল থানার এসআই আল-আমিন বলেন, ‘নির্দেশনা হাতেই পেয়েই আসামিকে গ্রেপ্তারে কাজ শুরু করি। প্রধান অভিযুক্ত রিয়ানকে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’