রাঙ্গামাটি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:০০ পিএম
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৫১ পিএম
টানা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত ব্রিজ। প্রবা ফটো
রাঙ্গামাটিতে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে ডুবে গেছে ঝুলন্ত ব্রিজ। এতে ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ী ও পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি পানির নিচে চলে গেছে সেতুর পাটাতন।পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সর্তকতামূলক লাল নিশানা ও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পর্যটন কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম থেকে ঘুরতে আসা রাহুল সাহা নামে এক পর্যটক বলেন, ‘প্রথম ঝুলন্ত সেতু দেখতে এলাম। এসে এই দৃশ্য দেখে আমি হতাশ হয়েছি।’
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘অনেক আশা নিয়ে
বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে এসেছি। ভেবেছিলাম ঝুলন্ত সেতুতে ছবি উঠব, অনেক মজা
করব। কিন্তু এসে দেখি ব্রিজে পানি উঠে গেছে। কোন আনন্দই করা হলো না আমাাদের। তাই মনটা
খারাপ করে ফিরতে হচ্ছে।’
বোট চালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ব্রিজটি ডুবে যাওয়ার কারণে তেমন পর্যটক আসছে না। কোনো ভাড়াও পাচ্ছি না। এতে আমাদের আয়ও কমে যাচ্ছে।’
পর্যটন বোট ঘাটের ইজারদার রমজান আলী বলেন, ‘প্রতি বছর লেকের পানি বাড়লে
ব্রিজটি ডুবে যায়। এতে আমাদের ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতি হয়। ব্রিজটি ডুবে যাওয়ায়
আজকে আমাদের কোন বোট ভাড়া হয়নি। গত ৫ দিন ধরে আমাদের আয় কমেছে। পানি না কমলে আমাদের
আয় আরও কমবে।’
পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, ‘প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক
সেতুটি দেখতে আসেন। এখন লেকের পানি বেড়ে যাওয়ায় আজকে সকালে ব্রিজে পানি উঠে গেছে। তাই
পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ব্রিজে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে
পানি কমে এলে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে। এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো
হয়েছে।’
রাঙ্গামাটি কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজাহের জানান, বর্তমানে হ্রদে ১০৫.৭২ ফুট পানি রয়েছে। এটি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। পানির লেভেল ১০৭ ফুট হলে পানি ছাড়ার কথা চিন্তা করা হবে। এখনো পানি ছাড়ার চিন্তাভাবনা নেই। বর্তমানে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২০৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। হ্রদে পানি বাড়লে উৎপাদন আরও বাড়বে।