সদরপুর-চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:০০ পিএম
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:২৭ পিএম
সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা। প্রবা ফটো
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরবরাহ না থাকায় ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এতে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। বিশেষ করে ভর্তি হওয়া রোগীদের ভোগান্তি বেড়েছে। বিপাকে পড়েছেন প্রান্তিক ও হতদরিদ্র রোগীরা। ওষুধ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চাহিদা বেশি হওয়ায় স্যালাইন উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোও সরবরাহ বন্ধ রেখেছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা পাওয়ার একমাত্র ভরসা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির বহির্বিভাগ, আন্তঃবিভাগ ও জরুরি বিভাগে দৈনিক গড়ে প্রায় ৪০০-৫০০ রোগী বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা নিয়ে থাকেন। সরকারি ওষুধ দিয়ে প্রতিদিন রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। একজন রোগীর জন্য যেখানে দুটি স্যালাইন প্রয়োজন, সেখানে একটি করে স্যালাইন দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়ার পর প্রয়োজনীয় বেশির ভাগ ওষুধই হাসপাতালের ডাক্তারদের দেওয়া স্লিপের মাধ্যমে বাইরের ফার্মেসিগুলো থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ওষুধ না পেয়ে অনেকে আবার ফিরে যাচ্ছেন। যাদের সামর্থ্য আছে, তারা ওষুধ কিনে নিচ্ছেন। আবার স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় ওষুধও সব সময় বাইরের ফার্মেসিগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে না। পাওয়া গেলেও দাম বেশি নিচ্ছে তারা।
বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা জানান, হঠাৎ করে স্বাভাবিকের চেয়ে ২০ গুণ চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্যালাইন সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে।
সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ওমর ফয়সাল বলেন, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও স্যালাইনের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও সব সময় প্রকৃত চাহিদা অনুযায়ী এসব পাওয়া যায় না। তবু চেষ্টা থাকে জনগণের কষ্ট লাঘব করার, যাতে তারা আরও বেশি সেবা পায়।