কুড়িগ্রাম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:৫৬ পিএম
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:২৫ পিএম
সীমান্তে বাংলাদেশি যুবক হত্যার ঘটনায় বিএসএফের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি যুবক মানিক মিয়া নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে বাহিনীটির অজ্ঞাতপরিচয় সদস্যদের।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপ কুমার সরকার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) মানিক মিয়ার বাবা আব্দুল বাতেন রৌমারী থানায় এ মামলা করেন।
এজাহারের বরাতে ওসি জানান, গত শনিবার রাতে মানিকদের একটি গরু হারিয়ে যায়। বাড়ি থেকে ৩০০ গজ পূর্বে সীমান্তের কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সেই গরু খুঁজতে গিয়েছিলেন মানিক। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা গুলি করলে নিহত হন মানিক।
ওসি রূপ কুমার সরকার বলেন, ‘অজ্ঞাত বিএসএফ সদস্যদের আসামি করে নিহতের বাবা মামলা করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদনে নিহতের বাঁ পাঁজরে একটি এবং বুকের ডান দিকে আরেকটি ছিদ্র পাওয়া গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার সকালে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।’
সীমান্তে গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহতের ঘটনায় সোমবার বিকালে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে। এ বিষয়ে রৌমারী সীমান্তের দায়িত্বে থাকা জামালপুর বিজিবি-৩৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল্লাহ আল মাশরুকী বলেন, ‘পতাকা বৈঠকে বিএসএফ জানিয়েছে, তাদের সীমানায় সন্দেহভাজনদের অনুপ্রবেশের কারণে তারা গুলি ছুড়েছে। গুলির ঘটনায় আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এসএম আব্রাহাম লিংকন বলেন, ‘ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশিরা নিহত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো করণীয় থাকে না। তবে আমাদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিএসএফের ছোড়া গুলিতে নিহত হলে সেক্ষেত্রে আইনি কাঠগড়ায় সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা যায়। তা ছাড়া সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলো অধিকাংশ সময় আইনি জটিলতায় আলোর মুখ সহজে দেখে না।’