কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:০১ পিএম
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৪০ পিএম
কক্সবাজারের কলাতলীর রাজন কটেজ। প্রবা ফটো
কক্সবাজারের কলাতলীর কটেজ জোনে দুই কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের মধ্যে একজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তার নাম-পরিচয় জানায়নি পুলিশ।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দিনভর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা থাকলেও রাত ৯টার আগে কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম এক ব্যক্তিকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ’পুলিশের অভিযান এখনও চলছে। জড়িতদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। একজন আটক রয়েছে। তার নাম-ঠিকানা পরে জানানো হবে।’
কিশোরীর চিকিৎসক, পুলিশ ও ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা মানুষের তথ্যমতে, কলাতলী এলাকার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বিপরীতে অবস্থিত রাজন কটেজ নামের প্রতিষ্ঠানে সোমবার রাতে দুই কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন।
কয়েকদিন আগে একটি অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশনের জন্য ঢাকা থেকে তাদের কক্সবাজার শহরে আনা হয়েছিল। যার মাধ্যমে তারা আসেন সেই ব্যক্তি একটি চক্রের হাতে তাদের তুলে দেয়। রাজন কটেজে নিয়ে তাদের ধর্ষণ করে চক্রের সদস্যরা। আজ সকালে তাদের ঢাকার একটি বাসে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়লে বাস থেকে রামু বাইপাস এলাকায় নেমে যায় এক কিশোরী। অপরজন ঢাকার উদ্দেশে চলে যায়। রামুতে নেমে যাওয়া কিশোরীকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার সময় চিকিৎসক ঘটনার বিস্তারিত জেনে পুলিশকে জানান। পুলিশ তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা নোবেল কুমার বড়ুয়া জানান, সকালে ওই কিশোরীকে চিকিৎসা দিয়েছেন চিকিৎসক নুরুল হুদা শাওন। কিশোরীর বক্তব্য পাওয়ার পর তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে নিয়েছেন। একজন চিকিৎসাধীন রয়েছে। পুলিশ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে পেরেছে। একজন আটক হয়েছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।
ঘটনার পর থেকে রাজন কটেজে কাউকে পাওয়া যায়নি। অনেকেই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা পুলিশ হেফাজতে বলে দাবি করলেও পুলিশ এ ব্যাপারে কোনো তথ্য স্বীকার করেনি।
এই কটেজ জোনে ২০২১ সালের ২২ ও ২৮ ডিসেম্বর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল।