জয়পুরহাট প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৫১ পিএম
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৫৬ পিএম
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় স্বামীর ছোড়া গরম পানিতে সুরাইয়া আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর শরীর ঝলসে গেছে। যৌতুকের দাবিতে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার তালোড়া বাইগুনি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সুরাইয়া ওই গ্রামের ভ্যানচালক আসমান ফকিরের মেয়ে। ভালোবেসে এক বছর আগে একই গ্রামের সুমন মিয়ার সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী, গৃহবধূর স্বজন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে সুমনকে ১ লাখ টাকা, এক ভরি সোনা ও আসবাবপত্র দেয় সুরাইয়ার পরিবার। কিন্তু সুমন বিয়ের পর স্ত্রীর কাছে আরও ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন। এ নিয়ে একবার সালিশও হয়। বৃহস্পতিবার রাতে সুরাইয়া ভাত রান্না করছিলেন। এ সময় সুমন টাকার কথা তুলে ক্ষিপ্ত হয়ে তার শরীরে ভাতের পাতিলের গরম পানি ছোড়েন। এতে সুরাইয়ার পাসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ঝলসে যায়। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে সুরাইয়ার বাবা-মা এসে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গতকাল শুক্রবার দুপুরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে।
সুরাইয়ার বাবা আসমান ফকির জানান, তাকে ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতে হয়। আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ। যৌতুকের টাকার জন্য সুমন তার মেয়েকে চাপ দিত। এ নিয়ে মেয়ের সঙ্গে জামাইয়ের প্রায়ই ঝগড়া হতো। অনেকবার মেয়েকে মারধর করেছে। এদিকে রাগের মাথায় এসব করেছেন বলে জানিয়েছেন সুমন। তার দাবি, স্ত্রীকে মেরে ফেলার জন্য তিনি এটি করেননি।
কালাই থানার ওসি ওয়াসিম আল বারি জানান, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। তবে কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।