বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:২৬ পিএম
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:৩৯ পিএম
রাস্তার দুই পাশে মরা গাছ, ঝুঁকি নিয়ে চলছে গাড়ি ও পথচারীরা। প্রবা ফটো
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার
বাঞ্ছারামপুরে উপজেলা শহর থেকে সলফা সড়কের দুই পাশে সারি সারি গাছ রয়েছে। এসব গাছের
ফাঁকে কয়েকশ মরা গাছ পথচারীদের জন্য মারণফাঁদে পরিণত হয়েছে। মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে গাড়ি
চালাচ্ছেন চালকরা। কয়েক বছর ধরে এসব গাছ মরে থাকলেও কাটার উদ্যোগ নেয়নি সড়ক ও জনপথ
এবং বন বিভাগ।
ঝড়-বৃষ্টির সময় মরা গাছের ডাল ভেঙে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে এসব মরা গাছ দ্রুত অপসারণের জন্য আহ্বান জানান পথচারীরা।
বুধবার
(১৩ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা শহর থেকে সলফা সড়কের পাড়াতলী গ্রামের
রাস্তার দুই পাশে অর্ধশতাধিক শিশু ও আকাশমণি গাছ মরে গেছে। একই রাস্তার পূর্বহাটি এলাকায়
একাধিক গাছ মরে শুকিয়ে আছে। এসব গাছের ডাল প্রায়ই ভেঙে পড়ছে রাস্তায়।
উপজেলা
শহর থেকে কড়িকান্দি সড়কের কানাইনগর এলাকার ৩০ থেকে ৪০টি আকাশমণি ও কড়ইসহ বিভিন্ন
প্রজাতির গাছ মরে আছে। উপজেলা শহর থেকে হোমনা সড়কের উজানচর গ্রামের রাস্তায় সামাজিক
বনায়নের ৩০ থেকে ৩৫টি গাছ মরে শুকিয়ে গেছে।
এ
ছাড়া উপজেলা শহর থেকে জীবনগঞ্জ রাস্তার দড়িভেলানগর এলাকায় ১০ থেকে ১৫টি গাছ মরে
গেছে। এসব মরা গাছের ডালপালা রাস্তার দিকে হেলে থাকায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
সিএনজি
গাড়িচালক ছাদেক মিয়া জানান, ঝড়-বৃষ্টির দিন ছাড়াও সড়কে চলতে ভয় লাগে। কখন যে গাছ
ভেঙে পড়ে গাড়ির ওপর, সব সময় আতঙ্ক কাজ করে। অধিকাংশ মরা গাছ পোকা খেয়ে নরম করে রেখেছে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস বলেন, ’ইতোমধ্যে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গাছগুলো কাটার ব্যবস্থা করা হবে।’