সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে উচ্ছেদ অভিযান
চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৪৮ পিএম
চট্রগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় অবৈধভাবে দখলে রাখা স্থাপনা উচ্ছেদ করে। প্রবা ফটো
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে পাহাড় থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শেষে ফেরার পথে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অভিযানে অংশ নেওয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সীতাকুণ্ড থানার ওসিসহ অন্তত আটজন আহত হন। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সীতাকুণ্ড থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ বলেন, অভিযান শেষে ফেরার পথে দুই পাশের পাহাড় থেকে দুর্বৃত্তরা আমাদের ওপর ইট, পাথর ছুড়তে থাকে। সেখানকার গডফাদার ইয়াছিনের নেতৃত্বে এই গেরিলার মতো তারা হামলা করেছে। এতে হাঁটুতে ব্যথা পেয়েছি। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আরও সাতজন আহত হয়েছেন। হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযানে অংশ নেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত জঙ্গল সলিমপুরে উচ্ছেদ অভিযান চালাই। অভিযান চলাকালে দুপুরের দিকে এক দফা বাধা দিয়েছিল। এরপরও পাহাড় কেটে গড়ে ওঠা অবৈধ বসতি আমরা উচ্ছেদ করেছি। কিন্তু বিকালে অভিযান শেষ করে ফেরার পথে পেছন থেকে তারা হঠাৎ আমাদের ওপর ঢিল ছুড়ে মারে। এতে আমি নিজেও মাথায় আঘাত পেয়েছি। হাসপাতাল থেকে ব্যান্ডেজ করিয়ে একটু আগে বাসায় এলাম। আবার যেতে হবে। মাথায় আঘাত লাগছে বেশ।’
এদিকে অভিযান শেষ করে এসে সন্ধ্যার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসনের এডিএম তানভীর আল নাসীফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সীতাকুণ্ডের ইউএনও, এসি ল্যান্ডসহ পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যদের নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে শতাধিক অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করে প্রায় ১০ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু অভিযান শেষে ফেরার পথে পেছন থেকে কিছু দুষ্কৃতিকারী বিভিন্ন পাহাড়ে উঠে ইট-পাথর নিক্ষেপ করে আমাদের আভিযানিক দলের ওপর হামলা চালায়। এতে সাত-আটজনের মতো আহত হয়েছেন। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে।’
অভিযানে অংশ নেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম রফিকুল ইসলাস, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নু-এমং মারমা, মো. রাজিব হোসেন, এস এম এন জামিউল হিকমা, রাকিবুল ইসলাম এবং সীতাকুণ্ড উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। অভিযানে শতাধিক পুলিশ, র্যাব, আনসার, বিজিবি সদস্য অংশ নেন।