ঢাকায় স্বর্ণ চুরি
চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:৫২ এএম
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।
গত তিন বছরে জব্দকৃত ১২৫ কেজি স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। নিজেদের কাস্টডিতে থাকা এই স্বর্ণগুলো ইনভেন্ট্রি করার পর কাস্টম হাউস গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম কার্যালয়ে জমা দেয়। এ সময় পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কাস্টম হাউসের উপকমিশনার বদরুজ্জামান মুন্সি এ তথ্য নিশ্চিত করে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘বিভিন্ন মামলায় গত তিন বছরে জব্দ করা ১২৫ কেজি স্বর্ণ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৭৪টি সোনার বার ছিল। এসব সোনার বারের ওজন ছিল প্রায় ৯০ কেজি। বাকি ৩৫ কেজি ছিল বিভিন্ন আকারের স্বর্ণের পিণ্ড ও জুয়েলারি।’
জানা গেছে, ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাস্টম হাউস থেকে ৫৫ কেজি স্বর্ণ চুরি হওয়ার ঘটনায় তৎপর হয় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। এ ঘটনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাধারণ আদেশমূলে গত মঙ্গলবার কাস্টমসের কাস্টডিতে থাকা স্বর্ণের তালিকা তৈরি শুরু করে কাস্টম হাউস। তালিকা তৈরির পর বুধবার বিকালে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সেগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়। যদিও এসব স্বর্ণ জব্দ করার সাত দিনের মধ্যেই কাস্টম হাউসের বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়ার কথা ছিল।
কাস্টমসের আটককৃত বা নিষ্পত্তিযোগ্য পণ্য সংরক্ষণ পদ্ধতি আদেশে বলা আছে, মূল্যবান ধাতু (স্বর্ণ, রুপা, হীরা, প্লাটিনাম বা অনুরূপ মূল্যবান ধাতু বা জুয়েলারি) এবং বৈদেশিক মুদ্রা কাস্টমস গুদামে জমা হওয়ার সাত দিনের মধ্যে পুলিশ পাহারায় কাছের বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখায় জমা দিতে হবে। সম্ভব না হলে কারণ উল্লেখ করে এক মাসের মধ্যে জমা দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়ার আগ পর্যন্ত স্বর্ণ বা বৈদেশিক মুদ্রা কাস্টমসের মূল্যবান গুদামে সংরক্ষণ করতে হবে।
আদেশে এটি বলা হলেও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস এই আদেশ মানেনি। জব্দের পরপরই স্বর্ণগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে হস্তান্তর না করে এতদিন কাস্টম হাউসের ভোল্টে রেখেছিল।
এ বিষয়ে বদরুজ্জামান মুন্সি বলেন, ‘জব্দ স্বর্ণগুলোর বিপরীতে মামলা করা হয়। এর মধ্যে অধিকাংশ মামলা চলমান থাকায় আলামত হিসেবে সেগুলো কাস্টডিতে রাখা হয়েছিল। কিন্তু এখন এনবিআর থেকে আদেশ আসায় আমরা স্বর্ণগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, কাছাকাছি সময়ে যেসব মামলার শুনানি আছে এবং যেসব মামলায় আদালতে আলামত উপস্থাপন করতে হবে। সেগুলোর ক্ষেত্রে একটি করে বার রেখে বাকি স্বর্ণগুলো ব্যাংকে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর যেসব মামলা ইতোমধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে এবং যেগুলো নিষ্পত্তি হতে অনেক বিলম্ব হবে, সেগুলোর বিপরীতে জব্দ করা সব স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংককে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।