ঠাকুরগাঁও প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:১০ পিএম
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:২৭ পিএম
ঠাকুরগাঁও শহরের হাজীপাড়া এলাকায় রাস্তা সংস্কার করছে আমানতুল্লাহ ইসলামি একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। প্রবা ফটো
ঠাকুরগাঁও শহরের হাজীপাড়া এলাকার আমানতুল্লাহ ইসলামি একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা টিফিনের টাকা জমিয়ে রাস্তা সংস্কার করছে। স্কুলটির শিক্ষার্থীরা মিলে গড়ে তুলেছে ‘একতাবন্ধন স্বেচ্ছাসেবী প্ল্যাটফর্ম’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের সামনের রাস্তাটি বেহাল। এতে দুর্ভোগে ছিল তারা। নিরূপায় হয়ে তারা স্কুলের টিফিনের টাকা জমিয়ে সংস্কারকাজ শুরু করেছে। স্কুলের সামনে থেকে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার কাজ করছে এসব শিক্ষার্থীরা। তাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্কুলের শিক্ষকরাও। তারা অন্যদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবক নবম শ্রেণির ছাত্র রাফসান বলে, ‘আমাদের বিদ্যালয়ের যাওয়া-আসা রাস্তাটা এত বাজেভাবে ভেঙে গেছে যে, অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। রিকশাওয়ালা আসতে চান না। বর্ষার দিনে কতবার যে দুর্ঘটনা ঘটছে তা হিসাব নাই। তাই আমরা স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থী টিফিনের টাকা জমিয়ে এই রাস্তাসহ কয়েকটি রাস্তার কাজ করছি।’
আরেক শিক্ষার্থী আকাশ রহমান বলে, ‘এই রাস্তা মেরামতের কাজগুলো পৌরসভার। পৌরসভার প্রতিটি রাস্তা এখন চলার অযোগ্য। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ রিকশা থেকে পড়ে যায়। তাই আমরা নিজ উদ্যোগে কয়েকজন শিক্ষার্থী মিলে রাস্তা মেরামতের কাজ করছি।’
সংগঠনটির সভাপতি স্কুলের শিক্ষক আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ের রাস্তাটার অবস্থা খুবই খারাপ। কার্পেটিং উঠে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। বর্ষায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে গেলে স্কুল ড্রেস নোংরা হয়ে যায়। রিকশাওয়ালা এই রাস্তা দিয়ে আসতে চান না। এজন্য অনেক শিক্ষার্থী সময়মতো বিদ্যালয়ে আসতে পারে না। তখন আমিসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী এই সংগঠনটি চালু করি এবং শিক্ষার্থীদের টিফিনের টাকা দিয়ে আমাদের বিদ্যালয়ের এক কিলোমিটারসহ শহরের বেশ কয়েকটি রাস্তা মেরামত শুরু করি। মানুষের উপকারে এগিয়ে আসার জন্য গঠিত হয়েছে সংগঠনটি। সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে সব কাজ করা যায়।’
শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু সাইদ। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গর্বিত। তারা একটা ভালো কাজ করছে। আসলে পৌরসভার প্রতিটি রাস্তা বেহাল। আমরা স্কুলের শিক্ষকরা যে যতটা পারছি আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছি। সেই সঙ্গে অন্যদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’