রংপুর অফিস
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:৫২ পিএম
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:১৩ পিএম
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘সিন্ডিকেট সরকারকে পাত্তা দিচ্ছে না। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো পদক্ষেপ জনগণের চোখে পড়ছে না। মানুষ দ্রব্যমূল্যের চাপে অত্যন্ত কষ্টে আছে।’
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর নগরীর দর্শনাস্থ ‘পল্লী নিবাস’ বাসভবনে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, ‘কোনো পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার আগে বাজারে চাহিদা ও জোগান কত তা পরিমাপ করতে হয়, নানা ধরনের ডেটা নিতে হয়, গবেষণা করতে হয়। পেঁয়াজ, ডিম ও আলুর দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সরকার এসব বিষয় বিবেচনা করেনি বলে আমার মনে হয়েছে। ফলে বাজারে এসব পণ্যের দাম কমেনি।’
‘সরকার যতই দাম নির্ধারণ করুক, যদি চাহিদার তুলনায় জোগান কম-বেশি হয়, তবে সে দাম স্থির রাখা সম্ভব হবে না। এ ছাড়া সরকার জোর করে পণ্যের দাম বাড়ালে জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আবার কমালে উৎপাদনকারী-ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে,’ যোগ করেন তিনি।
পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সরকার ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি বাণিজ্যমন্ত্রী থাকাকালীন দ্রব্যমূল্য মানুষের হাতের নাগালে ছিল। আমার সময়ে দাম বাড়লে বা কমলে জনগণ জানত দাম বাড়া ও কমার কারণ কী। তখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি মানুষের আস্থা ছিল। আজ নানা অজুহাত দিয়ে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে। দেউলিয়া হয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের মতো দেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমাদের দেশের তুলনায় বিশ্ববাজারে সকল পণ্যের দাম কম রয়েছে।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সঠিক সময়ে হবে কি না জনগণ তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা ৩০০ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছি। বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল, অনিশ্চিত ও অস্বচ্ছ। সরকার এক পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে চাচ্ছে, অপর পক্ষ আরেক পদ্ধতিতে নির্বাচন চাচ্ছে। কোন পক্ষ টিকে থাকবে জানি না। সঠিক সময়ে নির্বাচন হবে কি না- এ নিয়ে জনগণের শঙ্কা রয়েছে। তাই আমরা আশা করছি, সকল আসনে এককভাবে নির্বাচন করব। বাকিটা সামনে বোঝা যাবে।’
জাতীয় সংসদে রওশন এরশাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে জিএম কাদের বলেন, ‘উনি কেন সংসদে নির্বাচনে যাওয়ার কথা বলেছেন তা আমার জানা নেই। সম্মানী ব্যক্তি হিসেবে তাকে দলের পৃষ্ঠপোষক করা হয়েছে। তিনি আমাদের পরামর্শ দিতে পারেন। সেটি আমরা গ্রহণ করতে পারি, আবার নাও পারি। সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কোনো নির্বাহী ক্ষমতা তাকে দেওয়া হয়নি। দলের কোনো সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যান অথবা মহাসচিব দেবেন। এর বাহিরে কেউ কিছু বললে তা হবে তার ব্যক্তিগত মতামত।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান, রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির, সহসভাপতি লোকমান হোসেন, জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাকসহ অনেকে।