মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৪৮ পিএম
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৫৯ পিএম
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজসেবা কর্মকর্তা আল আমিন। প্রবা ফটো
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজসেবা কর্মকর্তা আল আমিন ভুয়া প্রতিবন্ধীদের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে।
জানা গেছে, ভুয়া হিসেবে ৬৮ জন শনাক্ত হলেও টাকা উত্তোলন করা হয়েছে ৪৮ জনের। ঘটনাটি জানাজানি হলে বাকি ২০ জনের টাকা উত্তোলনের বিষয়টি আটকে দেন জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক।
এ বিষয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর প্রতিদিনের বাংলাদেশে ‘প্রতিবন্ধীদের ভাতার টাকা ঢোকে কর্মকর্তার পকেটে’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে কিশোরগঞ্জ সদরের বৌলাই, কর্শাকড়িয়াইল, দানাপাটুলি, মহিনন্দ ও লতিবাবাদ ইউনিয়নের প্রকৃত প্রতিবন্ধীদের তালিকা করেছিলেন সংশ্লিষ্ট ইউপির জনপ্রতিনিধিরা। উপজেলা বাছাই কমিটি এমআইএস তালিকাভুক্ত করে তাদের প্রতিবন্ধী ভাতা বই ও পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আল আমিন এমআইএস তালিকা থেকে ৬৮ জনের নাম সরিয়ে নতুন ৬৮ জনের নাম বসিয়ে তাদের নামে পে-রোল প্রেরণ করেন। নতুন ৬৮ জনের মধ্যে ৪৮ জনের ভাতা উত্তোলন দেখানো হলেও বাস্তবে তাদের ৫০০ টাকা করে দিয়ে বাকি ৯ হাজার ৭০০ টাকা করে মোট ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬০০ টাকা তিনি নিজেই আত্মসাৎ করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান শহীদুল্লাহ জানান, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে এক সপ্তাহ সময় লাগবে।
সমাজসেবা কর্মকর্তা আল আমিনের মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে এ বিষয়ে কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।