নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:০৯ পিএম
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:৫৪ পিএম
অসুস্থ এক পথচারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও আবদুল কাদের মির্জা। প্রবা ফটো
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বড় মসজিদের পাশে পড়েছিলেন অসুস্থ এক পথচারী। বাজার পরিদর্শনে বের হয়ে দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার দায়িত্ব নেন কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও আবদুল কাদের মির্জা।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ওই পথচারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান কাদের মির্জা।
অসুস্থ ব্যক্তির নাম, মো. মামুন। তিনি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। মো. মামুন কাজের সন্ধানে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আসেন। শনিবার ভোর থেকে অজ্ঞান হয়ে বসুরহাট বড় মসজিদের সামনে পড়ে ছিলেন তিনি।
কাদের মির্জা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রতিদিনের মতো আজও সকালে বসুরহাট বাজার পরিদর্শনে বের হই। বড় মসজিদ সংলগ্ন আল্লাহর-৯৯ নাম মিনারের পাশে একটি অপরিচিত লোক প্রায় মৃত্যুশয্যায় পড়ে থাকতে দেখি। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাই। হাসপাতালে ভর্তি করে তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছি।
কাদের মির্জা আরও বলেন, অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি। তিনি ভোর থেকেই প্রায় মৃত্যুশয্যায় পড়েছিলেন। কিন্তু একটি মানুষও সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি। উল্টো তার সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা ও মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। মানুষ মানুষের জন্য কিন্তু বর্তমানে মানুষের মানবিকতার এমন অবক্ষয়ে আমরা সত্যিই হতাশ। আমি তার সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছি। তিনি সুস্থ হলে নিজ গ্রামে ফেরত যাবেন। যদি কেউ তার পরিবারের সন্ধান জানেন তাহলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সেলিম বলেন, মেয়র মহোদয় নিজে ওই পথচারীকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। আমরা তাকে স্যালাইন দিয়েছি এবং কিছু পরীক্ষা দিয়েছি। পরীক্ষার ফল পাওয়া গেলে বিস্তারিত বলা যাবে। তবে ওই পথচারী এখন শঙ্কামুক্ত আছেন। আমরা তাকে পর্যবেক্ষণ করছি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জা। তিনি বসুরহাট পৌরসভার চারবারের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে আছেন। তিনি ‘অপরাজনীতি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সত্য বচনের’ কারণে জাতীয়ভাবে বেশ আলোচিত হন।