ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:১৮ পিএম
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:২৩ পিএম
চট্টগ্রামে শাহসূফী সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারীর নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য জশনে জুলুস। প্রবা ফটো
ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন শ্রেষ্ঠ এক ইবাদত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান শাহসূফী ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভাণ্ডারী। তিনি বলেন, এটা উম্মতে মোহাম্মদীর নাজাতের উসিলা হিসেবে কাজ করবে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) জুম্মার নামাজের পর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ভাটিয়ারীতে মাদাম বিবির হাটে জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে জশনে জুলুস আয়োজনের মধ্য দিয়ে সত্যপন্থীদের জাগরণ ঘটেছে। বাতিল অপশক্তির আদর্শিক পতনের বার্তা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, মদিনা শরিফ থেকে প্রিয় নবী (দ.) হাজার হাজার হাজার সাহাবি নিয়ে জুলুসসহ মক্কা শরিফে গমন করেন। মক্কা বিজয় ঘটেছে জশনে জুলুসের মাধ্যমে প্রিয় নবীর (দ.) নেতৃত্বে। আল্লাহ পাক প্রিয় নবীর (দ.) সৃষ্টির পর ফেরেশতাদের মাধ্যমেও জশনে জুলুস পালন করে নবীজীর (দ.) মর্যাদাকে সমুন্নত করেছেন। তাই এটি কখনোই বিদআত বা মন্দ কাজ হতে পারে না।
বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে একশ্রেণির লোক ইসলামের মৌলিক আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। তাদের কারণে শান্তি সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামকে নেতিবাচক ধারায় উপস্থাপন করা হচ্ছে। অথচ মহানবীর (দ.) সব কর্মের প্রধান উপজীব্য হল মানবতাবোধ, মানুষের মুক্তি ও কল্যাণ সাধন। তিনি শিক্ষা দিয়েছেন সাম্য, মৈত্রী, ভ্রাতৃত্ববোধ, বৈষম্যহীনতা ও ন্যায়পরায়ণতার।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর (১২ রবিউল আউয়াল) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আনজুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়ার উদ্যোগে জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) ও আন্তর্জাতিক শান্তি মহাসমাবেশে যোগ দিতে আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম, ৯ নম্বর ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন, হযরত শাহজাহান শাহ (রহ.) মাওলানা জামে মসজিদের খতিব শাহজাদা মাওলানা আহমদুল হক মাইজভাণ্ডারী।
সভাপতিত্ব করেন ৯নম্বর ভাটিয়ারী ইউনিয়ন জশনে জুলুস পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলম।