ঠাকুরগাঁও প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:০৯ পিএম
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:১১ পিএম
পুলিশ কনস্টেবল আল-আমিন। প্রবা ফটো
ঠাকুরগাঁওয়ে এক কলেজছাত্রীকে দুই মাস আটকে রেখে নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল আল-আমিন ও তার বন্ধু রবিউলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
কনস্টেবল
আল-আমিন ঠাকুরগাঁও পুলিশ লাইনে সংযুক্ত রয়েছেন। তিনি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ডাবরডাঙ্গা
এলাকার তৈবুর রহমানের ছেলে। রবিউল ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে টেলি মেডিসিন পদে চাকরি করেন।
তিনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা রায়পুর ইউনিয়নের আব্দুল কাশেমের ছেলে।
রবিবার
(২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় আল-আমিনকে ১ নম্বর ও রবিউলকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
সোমবার
(২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের হাজিপাড়া এলাকার একটি মেছ থেকে ওই কলেজছাত্রীকে উদ্ধার
করে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে রবিউলকে আটক করা হলেও আল-আমিন পলাতক রয়েছেন।
ভুক্তভোগী
কলেজছাত্রী বলেন, ‘আল-আমিন আমাকে প্রথমে প্রেমের
ফাঁদে ফেলে। আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে কক্সবাজার নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে পাঁচ দিন রাখে।
কক্সবাজার থেকে এসেই জানতে পারি সে বিবাহিত। তার একটি সন্তানও রয়েছে। তখন আমি নিশ্চিত
হই সে একজন প্রতারক। এরপর আমি আমার বাসায় ফিরে যেতে চাই। কিন্তু আল-আমিন ও রবিউল আমাকে
আটকে রাখে। ২ মাস আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে রেখে নির্যাতন ও ধর্ষণ করেছে। আমি
এর উপযুক্ত শাস্তি চাই।’
কলেজছাত্রীর
বাবা বলেন, ‘আল-আমিন ও রবিউল আমার মেয়েকে
ফাঁদে ফেলেছে। তাদের পরামর্শে মাস তিনেক আগে হঠাৎ একদিন আমার বাসায় গচ্ছিত থাকা ৮ লাখ
৭৫ হাজার টাকা নিয়ে আমার মেয়ে পালিয়ে যায়। তারা আমার মেয়েকে কখনও রবিউলের বোনের বাসায়,
কখনও মহিলা মেছে, কখনও কক্সবাজার নিয়ে গেছে। প্রায় তিন মাস পর একটি মহিলা মেছ থেকে
পুলিশের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করতে পেরেছি। আমি এই অন্যায় ও জুলুমের বিচার চাই।’