জামালপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৩৮ পিএম
জামালপুরে দোকানপাট ভাঙচুর, লুটপাট ও জোরপূর্বক দখলচেষ্টার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতার শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। প্রবা ফটো
জামালপুর পৌরশহরের পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় দোকানপাট ভাঙচুর, লুটপাট ও জোরপূর্বক দখলচেষ্টার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা জাকিরুল ইসলাম জনির শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর আয়োজনে পৌরশহরের পুরাতন ফেরিঘাট বাইপাস মোড়ে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। পরে তারা ময়মনসিংহ-জামালপুর সড়ক অবরোধ করে মিছিল ও আওয়ামী লীগ নেতার কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।
অভিযুক্ত জনি পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য এবং শহরের ছনকান্দা এলাকার সরোয়ার হোসেনের ছেলে। ঘণ্টাব্যাপী চলা মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ভুক্তভোগী তাপস আহাম্মেদ, তার স্ত্রী সুমা আহাম্মেদ ও এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা জাকিরুল ইসলাম জনি দলীয় প্রভাবে ফিল্ম স্টাইলে তাপস আহাম্মেদের দোকানপাট ভেকু দিয়ে ভাঙচুর, লোটপাট ও জমি জবরদখল করার চেষ্টা করেন। তাপসের দোকানের ভাড়াটিয়াদের কোনো নোটিস না করেই দোকানপাট ভাঙচুর করেন। ভাঙচুরের বিষয়ে বলতে গেলে তিনি তাপস, তার স্ত্রী সুমা ও তাদের কর্মচারী সুলতানকে মারধর করেন। এ সময় তারা জনির শাস্তির দাবি জানান।
পরে বিক্ষোভকারীরা ময়মনসিংহ-জামালপুর সড়ক অবরোধ করে মিছিল এবং আওয়ামী লীগ নেতা জনির কুশপত্তলিকা দাহ করেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটুস লরেন্স চিরান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিচারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন।
গত বুধবার দুপুরে পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় তাপস আহাম্মেদের দোকানপাট ভাঙচুর, লুটপাট করে জমি জবরদখলের চেষ্টা করেন জনি। এ ঘটনায় তাপস ওইদিন তার বিরুদ্ধে মামলা করলে পরে রাতেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
জামালপুর সদর থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ জানান, মামলার এজাহারভুক্ত একমাত্র আসামি জনিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।