চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৩ ২০:৩২ পিএম
আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২৩ ২১:১৮ পিএম
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড শিপইয়ার্ড থেকে শ্রমিকের বিকৃত অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এমভি হানিমধু স্ক্র্যাপ জাহাজের মালিক, সীতাকুণ্ড থানার ওসি, সেকেন্ড অফিসারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ জমা পড়েছে। আদালত অভিযোগের ওপর বাদীর বক্তব্য শুনেছেন। এ ঘটনায় সীতাকুণ্ড থানায় কোনো মামলা হয়েছে কি না, তা জানতে চেয়েছেন।
রবিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হকের আদালতে অভিযোগ করেন নিহত শ্রমিকের বাবা ইউনুস মিয়া। প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা কোর্ট পরিদর্শক জাকির হোসেন।
অভিযুক্তরা হলেন—সাউদার্ন সালভেজ ও এমভি হানিমধুর মালিক আসাদুজ্জামান স্বপন, প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মুছাদ্দেক মিয়া, কন্ট্রাক্টর ফারুক আহমদ, কাটারম্যান এনামুল, সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ ও সেকেন্ড অফিসার মুকিব হাসান।
এজাহার থেকে জানা যায়, মো. রাসেল ২৬ আগস্ট সকাল ৮টায় বাসা থেকে বের হয়ে আসামি আসাদুজ্জামান স্বপনের মালিকানাধীন স্ক্র্যাপ জাহাজ কাটার কাজে যায়। ওই দিন কাজে যাওয়ার পরদিন রাত পর্যন্ত বাসায় ফিরে আসেননি। পরে ইয়ার্ডে খোঁজ নিলে কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই দিন কাজ করার সময় রাসেল পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন। তাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও পাওয়া যায়নি। পরে এ ঘটনায় ওই দিন রাতে বাদী সীতাকুণ্ড থানায় জিডি করতে গেলে ওসি ও সেকেন্ড অফিসার রাত ৪টা পর্যন্ত বসিয়ে রেখে জিডি না নিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেন।
পরদিন ডিআইজির কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানানোর পর একই দিন রাতে পুনরায় থানায় গেলে সেকেন্ড অফিসার মুকিব হাসান হুমকি দিয়ে গালাগাল করেন। এ ঘটনায় বেশি বাড়াবাড়ি করলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এ সময় ওসি মামলা না করার অনুরোধ জানান। মালিককে বলে কিছু টাকা নিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। ২ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ভোলাইপাড়া বেড়িবাঁধ থেকে স্থানীয়রা রাসেলের মরদেহ বিকৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। বাদী মরদেহ শনাক্ত করার পরও সেকেন্ড অফিসার ডিএনএ টেস্ট ছাড়া লাশ দেওয়া যাবে না বলে জানান। বাদীকে তার সন্তানের মরদেহ না দিয়ে পরবর্তীতে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামকে দিয়ে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়।