সন্তানসহ দম্পতিকে হত্যা
আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:২৯ পিএম
আপডেট : ০৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:৫৩ পিএম
গ্রেপ্তার দম্পতি সাগর আলী ও ইশিতা বেগম। সংগৃহীত ছবি
ঢাকার আশুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার দম্পতির মধ্যে স্বামী সাগর আলী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আর আদালত দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন সাগর আলীর স্ত্রী ইশিতা বেগমকে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোমেনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার দম্পতিকে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে সাগর আলী ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তার স্ত্রী ইশিতা বেগমকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হলে শুনানি শেষে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত শনিবার আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার একটি বাড়ির চতুর্থতলার একটি ফ্ল্যাট থেকে বাবুল হোসেন, তার স্ত্রী শাহিদা বেগম ও তাদের ছেলে মেহেদী হাসান জয়ের অর্ধগলিত গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বাবুল ও শাহিদা পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। মেহেদী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। বাবুলের গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার গরুড়া (ফুলবাড়ী) গ্রামে।
মরদেহ উদ্ধারের পরদিন আশুলিয়া থানায় বাবুল হোসেনের বড় ভাই আয়নাল হক অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন।
মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গাজীপুরের সফিপুর এলাকা থেকে সাগর ও ইশিতা দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪। পরে ঢাকার কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়।
র্যাব জানায়, এর আগে ২০২০ সালে টাঙ্গাইলের মধুপুরে একই কৌশলে একই পরিবারের চারজনকে খুন করা হয়। সাগর আলী মাত্র ২০০ টাকার জন্য ওই খুন করেছিলেন। সে সময় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। সাড়ে তিন বছর কারাগারে থাকার পর চলতি বছরের জুনে জামিনে মুক্তি পান সাগর।
র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, কবিরাজ সেজে আশুলিয়ায় বাবুলের বাসায় গিয়েছিলেন সাগর ও ইশিতা। চিকিৎসার নাম করে পরিবারের সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করেন তারা। পরে বাসায় লুট করতে গিয়ে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা পান এই দম্পতি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনজনকে খুন করেন তারা।
গ্রেপ্তারের পর গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাগর ও ইশিতাকে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।