দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:০৪ পিএম
আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:১৬ পিএম
সাজা পাওয়া জাসদ নেতা কারশেদ আলম। প্রবা ফটো
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে কৃষক হত্যা মামলায় জাসদ নেতা কারশেদ আলমসহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা না দিলে তাদের আরও এক বছর কারাগারে থাকতে হবে।
রবিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আবীর পারভেজ এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিদের আদালতে তোলা হয়েছিল।
সাজা পাওয়া আসামিরা হলেন, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের কারশেদ আলম, তার মেজভাই হামিদুল ইসলাম ও তার বড় ভাই আসাদুল ইসলামের ছেলে রাসেল। এ মামলায় অপর আট আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
কারশেদ আলম কুষ্টিয়া জেলা জাসদের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কাজী আরেফ আহমেদ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী তিনি। রায় ঘোষণার পরপর শত শত জাসদ নেতাকর্মী আদালতে জড়ো হন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অনুপ কুমার নন্দী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বরাতে তিনি জানান, ২০১২ সালের ১৫ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে আসামিরা শাহাজুলের মাথায় আঘাত করে। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক সপ্তাহ পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন জমা পড়ে। আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ৮ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করা হয়। পরে আসামিদের পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
কারশেদ আলমের পরিবারের দাবি, দ্বন্দ্ব ও পূর্ব শত্রুতার জেরে আমাদের পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অথচ যারা শাহাজুলকে মারপিট করে হত্যা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেনি বাদীপক্ষ। এ ঘটনায় আমরা ক্ষোভ প্রকাশ করছি। কারশেদ আলম দোষী নন। আমরা এই রায় মানি না। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।