নাটোর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:৪৩ পিএম
সরকারি বরাদ্দ না থাকায় গত ৪ মাস ধরে তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সটি। প্রবা ফটো
জ্বালানি বরাদ্দ না থাকায় গত চার মাস ধরে ঘোরে না নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুটি অ্যাম্বুলেন্সের চাকা। তালাবদ্ধ করে একটি রাখা হয়েছে গ্যারেজে, অপরটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায়। ফলে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের পাশাপাশি ভোগান্তি বেড়েছে রোগী ও তাদের স্বজনদের। দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বাসিন্দারা অ্যাম্বুলেন্সের সেবা থেকে বঞ্চিত হলেও সংকট নিরসনে দৃশ্যত কর্তৃপক্ষের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই।
গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, উপজেলার প্রায় ৩০ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ২০০৯ সালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। প্রতিদিন উপজেলার অন্তত ৫০ রোগী জরুরি চিকিৎসাসেবা নিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। প্রতিদিনই আশঙ্কাজনক রোগীদের উন্নত চিকিৎসায় জেলা অথবা বিভাগীয় হাসপাতালে প্রেরণ করতে হয়। সরকারিভাবে জ্বালানির বরাদ্দ না থাকায় গত চার মাস ধরে তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুটি অ্যাম্বুলেন্স।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, প্রতিবছর সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের জ্বালানি খরচ হয় ১৮-২০ লাখ টাকা। অথচ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ৭-১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতদিন ফিলিং স্টেশনের সঙ্গে বার্ষিক চুক্তিতে অ্যাম্বুলেন্স সেবা চলছিল। গত অর্থবছরে জ্বালানি বাবদ ১৫ লাখ টাকা বকেয়া পড়ায় বাধ্য হয়েই অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। সংকট নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় আবারও অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু সম্ভব।
হাসপাতালে আসা একাধিক রোগীর স্বজনরা জানান, সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা না থাকায় তিনগুণ টাকা বেশি খরচ করে রোগীকে জেলা অথবা বিভাগীয় হাসপাতালে নিতে হয়।
অ্যাম্বুলেন্স চালক জহুরুল ইসলাম জানান, তেলের বরাদ্দ না থাকায় প্রায় চার মাস ধরে অ্যাম্বুলেন্স দুটি তালাবদ্ধ রাখা হয়েছে।