× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

উচ্চতা জটিলতায় বন্ধ সেতুর কাজ

বরগুনা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৩ ১০:০২ এএম

উচ্চতা জটিলতায় দেড় বছরের বেশি সময় বন্ধ রয়েছে তালতলীর দক্ষিণা খালের ওপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজ। প্রবা ফটো

উচ্চতা জটিলতায় দেড় বছরের বেশি সময় বন্ধ রয়েছে তালতলীর দক্ষিণা খালের ওপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজ। প্রবা ফটো

উচ্চতা জটিলতায় বরগুনার তালতলী উপজেলার দক্ষিণা খালের ওপর (ফকিরহাট-টেংরাগিরি ইকোপার্ক সংযোগ) নির্মাণাধীন সেতুর কাজ দেড় বছরের বেশি সময় বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে টেংরাগিরি ইকোপার্কে আসা হাজারো পর্যটকসহ স্থানীয়দের। তাদের দাবি, জটিলতার অবসান ঘটিয়ে দ্রুত সেতুটির কাজ শেষ করা হোক। 

বরগুনা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে উপজেলার দক্ষিণা খালের ওপর (স্থানীয় নাম সোনাকাটা খাল) একটি সেতু নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়। প্রকল্পটির উদ্দেশ্য টেংরাগিরি ইকোপার্ক ও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফাতরার বনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা। ৭২ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৭ মিটার প্রস্থের গার্ডার সেতুটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৭ কোটি টাকা। সেতুটির উচ্চতা ধরা হয় পানির স্বাভাবিক প্রবাহ থেকে ১০ ফুট। প্রক্রিয়া শেষে বরিশালের আমির ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। সেতুটির দুই পাড় মিলিয়ে অর্ধেক কাজ শেষও করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে ২০২২ সালের শুরুর দিকে পরিকল্পনা কমিশন ও স্থানীয় জেলেদের আপত্তির কারণে মাঝখানের ২৪ মিটার স্প্যান নির্মাণসহ বাকি কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তাদের দাবি (পরিকল্পনা কমিশন ও স্থানীয় জেলে), সেতুটির উচ্চতা আরও অন্তত ১০ ফুট বাড়াতে হবে।

বন বিভাগ, পর্যটন উদ্যোক্তা এবং স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুটির কাজ শেষ করার। না হয় পর্যটকশূন্য হয়ে পড়বে টেংরাগিরি ইকোপার্ক। এতে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাবে সরকার। এখনই পর্যটক আসা অনেকটা কমে গেছে। স্থানীয়দের ভোগান্তি তো আছেই। মোস্তাফিজুর রহমান নামে একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘এখানে একটা আয়রন (লোহার) ব্রিজ ছিল। চার বছর আগে সেটা ভেঙে ফেলা হয়েছে। নতুন ব্রিজের কাজ অর্ধেক করে ফেলে রেখেছে। সরকারের কোটি কোটি টাকা পড়ে আছে। অথচ স্থানীয়দের ভোগান্তির শেষ নেই। ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হয়। দিন দিন পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ছে টেংরাগিরি।’

মো. হানিফ নামে আরেকজন বলেন, ‘এই ব্রিজ ফালাইয়া রাখছে। মোরা (আমরা) চরম ভোগান্তিতে আছি। মোরা চলাচল করতে পারি না, পর্যটক আসে না। মোগো (আমাদের) জীবনের ঝুঁকি নিয়া ডিঙি নৌকায় চলাচল করতে হয়। মোরা এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি চাই।’

স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. সিদ্দিক বলেন, ‘সরকার আমাদের একটা ব্রিজ দিছে। ব্রিজ হওয়ায় আমরা খুব আনন্দিত ছিলাম। তবে তিন-চার বছর ধরে ব্রিজটি এভাবে পড়ে আছে। আমরা এখন উল্টা ব্রিজের কারণে ভোগান্তিতে আছি। দ্রুত ব্রিজটির কাজ শেষ করা হোক।’ 

উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘অপরিকল্পিতভাবে সেতুটির কাজ শুরু করা হয়। এখন এলজিইডি দোষ চাপায় ঠিকাদারদের ওপর, আর ঠিকাদার দোষ চাপায় এলজিইডির ওপর। মূলত পরিকল্পনায় ভুল হওয়ায় সেতুটির অর্ধেক কাজ হওয়ার পর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। আমরা এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি চাই।’

বন বিভাগের সখিনা বিট কর্মকর্তা মোশারেফ হোসেন বলেন, ‘সেতুটির কাজ সম্পন্ন হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। ডিঙি নৌকায় পার হতে অনেক সময় লাগে। সেতু হলে বন রক্ষা করতে সুবিধা হবে। ইকোপার্কের মধ্যে রাস্তার কাজের উন্নতি হবে এবং পর্যটক বৃদ্ধি পাবে। সঙ্গে বৃদ্ধি পাবে সরকারের রাজস্বও।’

সোনাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফরাজী মো. ইউনুচ বলেন, ‘তাদের (ঠিকাদার ও এলজিইডি) পরিকল্পনায় ভুল ছিল। সেই ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্মাণকাজ শেষ করার দাবি জানাচ্ছি।’

জানতে চাইলে বরগুনা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সুপ্রিয় মুখার্জী বলেন, ‘টেকনিক্যাল (কারিগরি) কারণে সেতুটির কাজ বন্ধ রয়েছে। এটি যে উচ্চতায় নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, সেই উচ্চতা ভরা জোয়ারের সময় নৌযান চলাচলে সমস্যা হবে। নতুন পরিকল্পনা করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা