বগুড়া অফিস
প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:৩৫ পিএম
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:২৫ পিএম
চলছে কুমারী পূজা। প্রবা ফটো
শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাঅষ্টমী আজ (রবিবার)। অষ্টমীর মূল আয়োজন কুমারী পূজা। এই তিথিতে বগুড়ায় কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন বেলা ১১টায় শাজাহানপুর উপজেলার গণ্ডগ্রাম এলাকার শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রমে এই পূজার আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে সকাল থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে আশ্রম প্রাঙ্গণ। অন্যান্য ধর্মালম্বী মানুষও কুমারী পূজা দেখতে ভিড় জমায়।
বগুড়ায় কুমারী পূজার জন্য মাতৃভাবের পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে এ বছর কুমারী মায়ের আসনে বসানো হয় ৬ বছর ১০ মাস বয়সী সৃজিতা ব্যানার্জী সৃজাকে। সৃজিতা ব্যানার্জীর বয়স ৭ বছরের কম হওয়ায় তাকে পুরাণ মতে নাম দেওয়া হয়েছে মালিনী। পূজা কার্যক্রম পরিচালনা করেন আশ্রমের পুরোহিত বাসুদেব ব্যানার্জী।
পূজা দেখতে আসা নিবেদিতা সাহা বলেন, ‘গত বছর প্রথম এই আশ্রমে কুমারী পূজা শুরু হয়। গত বছর মিস করলেও এবার আর কুমারী পূজা দেখতে আসা মিস করিনি।’
জগদীশ পাল বলেন, ‘কুমারী পূজা শেষে অঞ্জলি দিয়েছিলাম। এই পূজার মাধ্যমে নারী শক্তির জয় কামনা করি।’
পুরোহিত বাসুদেব ব্যানার্জী উপস্থিত পূজার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘কুমারী আদ্যাশক্তি মহামায়ার প্রতীক। দুর্গার আরেক নাম কুমারী। মুলত নারীকে যথাযথ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে কুমারী পূজা করা হয়। মাটির প্রতিমায় যে দেবীর পূজা করা হয়, তারই বাস্তব কুমারী পূজা।’
হিন্দু শাস্ত্রমতে, কুমারী পূজার উদ্ভব হয় কোলাসুরকে বধের মধ্য দিয়ে। কোলাসুর এক সময় স্বর্গ-মর্ত্য অধিকার করায় বাকি বিপন্ন দেবগণ মহাকালীর শরণাপন্ন হয়। সে সব দেবগণের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেবী কুমারী রূপে কোলাসুরকে বধ করেন। এরপর থেকে মর্ত্যে কুমারী পূজার প্রচলন শুরু হয়।
বগুড়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, এ বছর বগুড়ায় ১২টি উপজেলায় ৬৯৫ মণ্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে দুর্গোৎসব সম্পন্ন করতে প্রশাসন ও মন্দির কমিটির পক্ষ ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। আগামী মঙ্গলবার বিজয়া দশমীর মাধ্যমে দুর্গোৎসব শেষ হবে।