× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

আউশের মৌসুমে বোরো ধান

টাঙ্গাইল প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:১৯ পিএম

আউশের মৌসুমে বোরোর আবাদ। প্রবা ফটো

আউশের মৌসুমে বোরোর আবাদ। প্রবা ফটো

আউশ আবাদের মৌসুমে এ বছর বোরো চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ডা. শফিকুল ইসলাম। ভালো ফলনও পেয়েছেন তিনি। তার এই সাফল্যে বিস্মিত এলাকাবাসী। তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কুড়িবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা ডা. শফিকুল ইসলাম। তবে কাজ করেন ভোলা সদর হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে। তার এই সাফল্য গত চার বছরের সাধনার ফল। তার এই সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে আরও অনেক কৃষকও আউশের মৌসুমে বোরোর আবাদ শুরু করেছেন।

এ প্রসঙ্গে ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, আউশের মৌসুমে চার বছর আগে নিজের দুই বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে বোরো ধানের চায়না গোল্ডেন-১ ও দেশীয় ২৮, ২৯ ধান চাষ করেছিলাম। আবাদের প্রথম বছরই পেয়েছি ব্যাপক সাফল্য। এরপর থেকে প্রতিবছরই আউশের মৌসুমে বোরো ধান চাষ করে আসছি। এ বছর ছয় বিঘা জমিতে দেশীয় হাইব্রিড গোল্ডেন-১ চাষ করেছি। আউশের মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা না থাকায় এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় বোরো ধানের ফলন অন্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি হচ্ছে। অন্যদিকে সেচের পানি আর সারের ব্যবহার কম হওয়ায় ধান চাষে তুলনামূলক খরচ অর্ধেকে নেমে আসে। এ পদ্ধতিতে একই জমিতে বছরে তিনবার ধান চাষ করা যায়। এতে অনেক লাভবান হচ্ছি। 

তিনি বলেন, সারা দেশে এ পদ্ধতিতে ধান চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে কৃষক যেমন লাভবান হবেন, তেমনই খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে দেশ। কৃষি বিভাগের সহযোগিতা পেলে সারা দেশেই এ পদ্ধতিতে ধান চাষ ছড়িয়ে  দেওয়া সম্ভব।

স্থানীয় কৃষকরাও বোরো চাষে এগিয়ে এসেছেন 

টাঙ্গাইলের মধুপুরে স্থানীয় কৃষকদের অনেকেও এখন আউশ মৌসুমে বোরো ধান আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ডা. শফিকুলের দেখাদেখি তারাও দেশীয় হাইব্রিড গোল্ডেন-১ ধান চাষ করছেন।

স্থানীয় কৃষক জামাল মিয়া বলেন, ডা. শফিকুলের পরামর্শে গত বছর আউশ মৌসুমে চার বিঘা জমিতে দেশীয় হাইব্রিট গোল্ডেন-১ ধান চাষ করেছিলাম। বিঘাপ্রতি ৩০ মণ করে ফলন পেয়েছি। এছাড়া বছরে একই জমিতে তিনবার ধান চাষ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। চলতি মৌসুমেও বোরোর আবাদ করেছি। আশা করছি, গত বছরের মতো এবারও ভালো ফলন পাব। দামও নিশ্চয়ই ভালো পাওয়া যাবে। কৃষি বিভাগ সহযোগিতা করলে আবাদের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে হয়।

কৃষক কাশেম মিয়া বলেন, আউশের মৌসুমে বোরো ধান চাষ করে লাভবান হচ্ছেন ডা. শফিকুল। ধান অনেক ভালো হয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে সহযোগিতা পেলে আমিও আগামীতে এ ধান চাষ করব বলে ভাবছি।

কৃষি কর্মকর্তাদের প্রতিক্রিয়া

এ ব্যাপারে মধুপুর উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, ডা. শফিকুল ইসলাম আউস মৌসুমে দেশীয় হাইব্রিড গোল্ডেন-১ বোরো ধানের আবাদ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। চলতি আউশ মৌসুমেও তিনি এই ধানের আবাদ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তার দেখাদেখি স্থানীয় বেশ কয়েকজন কৃষকও এই ধানের আবাদ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। এ ধানের জাতকে ডা. শফিকুল ইসলাম চায়না গোল্ডেনÑ১ বলে দাবি করছেন। অন্যান্য জাতের ধানের ফলনের চেয়ে এই জাতের ধানের ফলন বেশি।

এ ব্যাপারে মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, ডা. শফিকুল এভাবে বোরোর আবাদ করে ভালো সাড়া ফেলেছেন। তবে টাঙ্গাইলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আহসানুল বাশার এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা