বঙ্গবন্ধু টানেলের স্বর্ণালী স্বপ্ন বিএনপির সহ্য হচ্ছে না : আ জ ম নাছির

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু টানেলের স্বর্ণালী স্বপ্ন ও বাঙালির প্রত্যাশার-প্রাপ্তিযোগ বিএনপি-জামায়াত এবং স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির কিছুতেই সহ্য হচ্ছে না।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে শেখ হাসিনার আগমন এবং বঙ্গবন্ধু টানেলের দক্ষিণ প্রান্তে জনসভা সফল করতে এ সভার আয়োজন করা হয়।

সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির বলেন, তারা ২৮ অক্টোবর ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পিতভাবে নাশকতা-অরাজকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়। ঢাকাকে অচল করে কুমতলব হাসিলের জন্য রাজনৈতিক কর্মসূচীর নামে কথিত মহাসমাবেশ ডেকেছে। এটা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচী নয়। দেশি-বিদেশি ও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির নির্বাচন বানচাল এবং বাংলাদেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ধ্বংসাত্মক মহড়া। 

তিনি আরও বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর দেশ ও জাতির জন্য একটি অহংকার ও গর্ব করার মতো মর্যাদার দিন। এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ব বৃহৎ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করে জাতি-ধর্ম-দল-বর্ণ নির্বিশেষে সব বাঙালির ললাটে আরেকটি বড় বিজয় তিলক উড়িয়ে দেবেন। বঙ্গবন্ধু টানেল শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ বা সরকারের জন্য নয়, এটার উপকারভোগী হবে দলমত নির্বিশেষে আপামর জনতা। তাই এই টানেল সমগ্র জাতি ও জনগণের সম্পদ। এই ট্যানেল উদ্বোধনের দিন বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক রাজনীতি প্রমাণ করে যে, তারা দেশ ও জনগণবিরোধী একটি অপশক্তি। 

সাবেক মেয়র ঘোষণা করেন, স্বাধীনতা ও দেশবিরোধী শক্তির রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে ২৮ অক্টোবর সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু টানেলের দক্ষিণ প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত করা হবে। জনসমুদ্রে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কমপক্ষে এক লাখ লোকের সমাগম ঘটানো হবে। 

জনসভা উপলক্ষে তিনি দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের রোডম্যাপসহ সমাবেশস্থলে নির্দিষ্ট সময়ে যোগদানের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দারুল ফজল মার্কেটের দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আওতাধীন থানা, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, যুগ্ম-আহ্বায়াকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ গ্রহণের জন্য উপস্থিত থাকতে আহ্বান করেন তিনি।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নে সব দায়িত্ব নিজের কাধে তুলে নিয়ে ২০০৮ সালে চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সভায় তিনি যে অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছিলেন কর্ণফূলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ তার মধ্যে অন্যতম। আজ শুধু চট্টগ্রামবাসী নয় সমগ্র বাংলাদেশের ভাগ্য পরিবর্তনের আরেকটি মাইলফলক হিসেবে এই টানেল স্বীকৃতি ও মর্যাদা পাবে। তাই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। তিনি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে জানেন ও করেছেন।

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। তিনি ২০০৫ সালে চট্টগ্রামের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে উত্থাপিত ২৮ দফা দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে এসব বাস্তবায়নে অঙ্গীকার প্রদান করেছিলেন। আজ একে একে তার প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকার বাস্তবায়ন হতে চলেছে। এটা সমগ্র জাতির জন্য একটি সৌভাগ্যের বিষয়।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি, মসিউর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও সাবেক ছাত্রনেতা গাজী হাফিজুর রহমান লিকু, চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন।