মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:২২ পিএম
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:৩৪ পিএম
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। প্রবা ফটো
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিতভাবে একজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল পুলিশ। বাহিনীটি বলছে, সংঘর্ষে আহত হয়েছেন পুলিশের ১৫ সদস্যসহ বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নে আঞ্চলিক সড়কে এই সংঘর্ষ হয়। দুপুর ১২টার দিকে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে দুজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, অবরোধকারীরা রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করলে পুলিশ তাদের সরানোর চেষ্টা করে। এ সময় তারা পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে।
নিহতরা হলেন- কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতি ইউনিয়নের বড় ছয়সূতি এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সহসভাপতি রেফায়েত উল্লাহ রিফাত এবং একই ইউনিয়নের মাধবদী এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কৃষক দলের সদস্য বিল্লাল হোসেন। রেফায়েতের লাশ ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আর বিল্লালের লাশ জেলা সদরে উপস্থিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম বলেন, সকাল ৮টার দিকে ছয়সূতী এলাকার কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক সড়কে অরোধ কর্মসূচি পালনে বাধা দেয় পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ছোড়ে। এ সময় আমাদের দুই নেতা গুলিবিদ্ধ হন। গুলিতে আহত রেফায়েত উল্লাহকে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথেই মারা যান। আহত বিল্লাহ কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় তাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়ছেন।
কুলিয়াচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রথম পুলিশের ওপর হামলা চালায়। আত্মরক্ষায় শটগানের গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। পরে দুজন নিহত হওয়ার খবর শুনেছি।