নাঈম ইসলাম, শেরপুর
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:৩৩ পিএম
শেরপুরের নকলা উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের (সিএইচসিপি) চার মাস ধরে বেতন বন্ধ। ধারদেনা করে সংসার চালাতে হচ্ছে তাদের। তবে দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে জানান উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।
উপজেলার একাধিক সিএইচসিপি জানিয়েছেন, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বেতন-ভাতাদি নিয়মিত দিয়ে এলেও জুলাই থেকে বন্ধ রয়েছে। ফলে অনেকেই ধারদেনা করে পরিবার নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করছেন।
উপজেলার বাউসা ক্লিনিকের সিএইচসিপি এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সরকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে। আমরাও সেবায় নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি। স্বল্প বেতনে নিয়মিত কাজ করেও চার মাস বেতন পাচ্ছি না। বেতন কেন ছাড়ছে না তা-ও জানি না। শুনেছি সারা দেশের নাকি একই অবস্থা। আয়ের অন্য কোনো উৎস না থাকায় সংসারের খরচ চালানোয় বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে। পরিবার নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করছি। ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছি। উপজেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে বেতন বন্ধের বিষয়ে জানতে চেয়েও কোনো সঠিক উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না।’
ধুকুড়িয়া ক্লিনিকের লুৎফর রহমান বলেন, ‘শুনেছিলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ট্রাস্ট গঠনের মাধ্যমে সরকারি চাকরির মতো সকল সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। কিন্তু সরকারি চাকরির সুযোগ-সুবিধা তো দূরের কথা, চার মাস বেতনই বন্ধ। ধারদেনা করে সংসার চালাচ্ছি।’
চিলথলিয়া ক্লিনিকের আসাদুজ্জামান বলেন, ‘প্রায় এক যুগ ধরে একই বেতনে চাকরি করছি, বেতন বাড়ছে না। শুনেছি আমাদের চাকরি নাকি রাজস্ব খাতে নেওয়া হবে; অথচ এখন নিয়মিত বেতনই পাচ্ছি না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে প্রত্যাশা।’
জানতে চাইলে উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘সারা দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো একটি প্রকল্পের অধীনে চলছে। মূলত ওই প্রকল্পই কমিউনিটি ক্লিনিকের বেতন ছাড় দেয়। তবে জুলাই থেকে অর্থ ছাড় না হওয়ায় সিএইচসিপিদের বেতন আটকে আছে। সারা দেশের প্রায় ১৪ হাজার সিএইচসিপির বেতন বন্ধ রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই অর্থ ছাড় দেওয়া হতে পারে।’