ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:০৫ পিএম
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:২১ পিএম
ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের নওধার এলাকায় সুতিয়া নদীর ধারে অবাধে ফেলা হচ্ছে ময়লা- আবর্জনা। রবিবারের ছবি। প্রবা ফটো
ত্রিশাল
পৌরসভার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের
নওধার এলাকায় সুতিয়া নদীর ধারে ফেলা
হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। প্রতিদিন
পৌর কর্তৃপক্ষ এ ময়লা-আবর্জনা
ফেলছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এতে পথচারী ও যানবাহনের যাত্রীদের
দুর্গন্ধ সহ্য করে ওই
এলাকা পার হতে হচ্ছে।
এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে
দিনের পর দিন এমন
ময়লার স্তূপ থাকলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এসব অপসারণ করছে
না।
সম্প্রতি
সরেজমিনে দেখা গেছে, ত্রিশাল
বাজার থেকে নওধার হয়ে
যে রাস্তাটি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে
মিশেছে, সেই স্থানেই ময়লার
স্তূপ। মহাসড়ক ঘেঁষে সড়ক ও জনপথ
অধিদপ্তরের (সওজ) নিষেধাজ্ঞা সাইনবোর্ড।
সেই সাইনবোর্ডের নিচেই ফেলা হচ্ছে ময়লা।
পাশেই রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল ও মাদ্রাসা। ময়লার
দুর্গন্ধে রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী লোকজনকে
রুমাল বা কাপড়ে মুখ
চেপে চলাচল করতে হচ্ছে। এ
ছাড়া পাশেই রয়েছে সুতিয়া নদী। ময়লা-আবর্জনা
নদীতে মিশে পানি দূষিত
হচ্ছে। পাশাপাশি কঠিন বর্জ্যে নদী
ভরাট হচ্ছে ক্রমেই।
স্থানীয়দের
অভিযোগ, ত্রিশালের পৌর কর্তৃপক্ষই প্রতিদিন
এখানে বর্জ্য ফেলছে। নওধার এলাকার আজিজুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার ময়লা
এখানে ফেলা হচ্ছে। ময়লাগুলো
নদীর ধারে এবং রাস্তার
কিনারে ফেলায় পানি ও পরিবেশ
দূষিত হচ্ছে। পাশেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও একটি মাদ্রাসা
রয়েছে। আশপাশের লোকজনকে মুখে হাত চেপে
বা রুমাল ব্যবহার করে চলাচল করতে
হচ্ছে। সওজ বিভাগ ময়লা
ফেলতে নিষেধ করে সাইনবোর্ড টাঙিয়েছিল।
কিন্তু সাইনবোর্ডটি হঠাৎ যেন কোথায়
উধাও হয়ে যায়। পরে
সওজ আবারও সাইনবোর্ড টাঙিয়েছে। এরপরও নিষেধাজ্ঞা মানছে না।
শিক্ষার্থী
আরিফা সাদাত জাহান বলে, ‘এ রাস্তা দিয়ে
প্রতিদিন স্কুলে যাই। ময়লার দুর্গন্ধে
চলাচল করতে সমস্যা হয়।
এখানে এসে নাক চেপে
রাস্তা পার হতে হয়।
ময়লা ফেলা বন্ধের অনুরোধ
জানাচ্ছি।’
পৌরসভার
৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আওলাদুল ফরহাদ বলেন, ‘বিধিনিষেধ সত্ত্বেও পৌরসভার বর্জ্য এখানে ফেলা হচ্ছে। রাস্তা
দিয়ে দুর্গন্ধে চলাচল করা যায় না।
ময়লা- আবর্জনা লোকালয় থেকে দূরে ফেলা
উচিত। সম্ভব হলে এগুলোকে রিসাইকেল
করে জৈবশক্তিতে রূপান্তর করা যেতে পারে।’
জাতীয়
কবি কাজী নজরুল ইসলাম
বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আশরাফ আলী সিদ্দিকী বলেন,
‘আমরা বুঝে না বুঝেই
এভাবে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলছি।
অথচ পরিবেশসম্মত উপায়ে লোকালয় থেকে দূরে এগুলো
সংরক্ষণ করে এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য
করে দূষণ কমানো সম্ভব।
সুস্থ ও সুন্দরভাবে বাঁচতে
হলে আমাদের সচেতন হতে হবে।’
জানতে চাইলে পৌরসভার মেয়র এবিএম আনিছুজ্জামান বলেন, পৌরসভার বর্জ্য ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই। ডাম্পিং স্টেশন স্থাপনের জন্য ১ নম্বর ওয়ার্ডের নামাপাড়ায় ৫ একর জায়গা অধিগ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।