সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:১৪ পিএম
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নেই দূরপাল্লার বাস, আঞ্চলিক যান চলাচল স্বাভাবিক। প্রবা ফটো
বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর এক দফা দাবি আদায়ের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচির শেষের দিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আঞ্চলিক যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও দূরপাল্লার বাস দেখা যায়নি। সড়কে আঞ্চলিক গণপরিবহনের চাপ অনেকটা বেড়েছে। তবে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। তবে স্বল্প সংখ্যক দূরপাল্লার বাস ছাড়ছেন বলে জানিয়েছেন কাউন্টার মালিকরা।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে সাইনবোর্ড, মৌচাক বাসস্ট্যান্ড, সানারপাড় ও শিমরাইল মোড় গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কে সকাল থেকে আঞ্চলিক যানবাহনের সংখ্যা অন্যান্য অবরোধের দিনগুলোর তুলনায় অনেকটা বেড়েছে। এর ফলে পরিবহন চালক ও যাত্রীরা চলাচল করছেন। তবে পরিবহনের সংখ্যা বাড়লেও যাত্রী সংকট লক্ষ্য করা গেছে। চালকদের যাত্রীর জন্য দীর্ঘক্ষণ বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ একেএম শরফুদ্দিন বলেন, আজ সড়কে অন্যান্য দিনের তুলনায় পরিবহনের চাপ অনেকটা বেশি। তবে দূরপাল্লার বাস বন্ধের সঠিক কারণ জানা নেই। সকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জনগণের নিরাপত্তার জন্যে সড়ক অবস্থান করছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, যেকোনো নাশকতা ঠেকাতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। যান চলাচল এবং মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে আমরা কাজ করছি। মানুষজন সকাল থেকে সবাই যার যার গন্তব্যস্থলে যেতে পারছে।
নগর পরিবহনের এক চালক বলেন, অবরোধের দিনগুলোতে তাদের কাউন্টার বন্ধ থাকার নির্দেশ রয়েছে। তবে আজ লোকাল বাসের মতো করে যাত্রী উঠানামা করে সড়কে চলাচল করছে তারা। যেখানে বাসের জন্যে যাত্রীরা অপেক্ষা করতেন, সেখানে তারা স্ট্যান্ডে যাত্রীর জন্যে দাঁড়িয়ে থাকছে।
মনজিল পরিবহনের এক হেলপার জানান, আজ গাড়ির চাপ বেশি লক্ষ্য করায় আমরাও বের হয়েছি। কিন্তু যাত্রী সংকটে দীর্ঘক্ষণ বিভিন্ন স্ট্যান্ডে অপেক্ষা করা লাগছে।
যুব কল্যাণ গাড়ির চালক জানিয়েছেন, সকালে বের হয়ে এখন পর্যন্ত একটি ট্রিপও মারতে পারিনি। তাই সাইনবোর্ডের পরের অংশের অবস্থা বলতে পারছি না। পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেনো জীবিকার জন্য গাড়ি চালানো প্রয়োজন।