বরিশাল
বরিশাল অফিস
প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৪৪ পিএম
‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের দাবি নৌকা প্রতীকে আর নয় যুদ্ধাপরাধী পরিবারের প্রার্থী’ শিরোনামে শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। প্রবা ফটো
বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শাহে আলমকে আওয়ামী লীগের তালিকাভুক্ত যুদ্ধাপরাধীর সন্তান দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের দাবি নৌকা প্রতীকে আর নয় যুদ্ধাপরাধী পরিবারের প্রার্থী’ শিরোনামে শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেস ক্লাবের তৃতীয় তলায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন বরিশাল-২ আসনের বানারীপাড়া ও উজিরপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
লিখিত বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘মেজর এমএ জলিল, ড. জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, সুখরঞ্জন সমাদ্দার ও বেনী লাল দাস গুপ্তসহ অগণিত বীর মুক্তিযোদ্ধার চারণভূমি এ জনপথ। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বরিশাল-২ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়া হয় আওয়ামী লীগের তালিকাভুক্ত যুদ্ধাপরাধী ডাক্তার সায়েদউদ্দিন তালুকদারের ছেলে শাহে আলমকে। মুক্তিযোদ্ধারা হতবাক হয়েছিলেন। তবুও মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক নৌকার সম্মানে তারা শাহে আলম এমপির পক্ষে কাজ করেন।’
জাহাঙ্গীর হোসেনের অভিযোগ, ‘সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তার পরিবারের পথ অনুসরণ করেছেন। জনগণের কথা না ভেবে নিজেই বিত্ত-বৈভবের পাহাড় গড়েছেন। কোনো মুক্তিযোদ্ধার সহযোগিতা করেননি।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘এই এমপি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা কুমুদ বিহারী গুহ ঠাকুরতার সমাধি গুড়িয়ে দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. জোতির্ময় গুহ ঠাকুরতার বাসভবন ভেঙ্গেছেন। স্কুলের নামের জমি দখল করেছেন। রাজাকার নিয়ে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে সংসদ সদস্য শাহে আলমের বাহিনী বানারীপাড়া বন্দর বাজারে হাতুড়ি পেটা করেছে। বানারীপাড়া উপজেলার তেতলা গ্রামের বেশকিছু হিন্দু পরিবারকে ভিটেছাড়া করেছেন। খাল দখল করে বাড়ি ও প্রাচীর নির্মাণ করেছেন। শ্মশানের জমি দখল করে গ্যারেজ ও বৈঠকখানা নির্মাণ করেছেন।’
তাই স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ড অবসানের লক্ষ্যে শাহে আলমকে এমপি হিসেবে চান না বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
অভিযোগের বিষয়ে মো. শাহে আলম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেবেন।
বানারীপাড়ার শান্তিপূর্ণ অবস্থান ও সামাজিক নিরাপত্তা ক্ষুন্ন করতে একটি মহল উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে এ ধরনের অভিযোগ করেছে বলে দাবি করেন শাহে আলম।